ঢাকার ধামরাইয়ে চোরাচালানকালে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৫ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে আটককৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলো মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে বছির (৩৮), নারায়ণগঞ্জ জেলার চর সৈয়দপুর এলাকার মৃত আলীমের ছেলে দিদার হোসেন (৩২),ঢাকার ধামরাইয়ের পটল এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮), ধামরাই উপজেলার পটল এলাকার আব্দুর রহিমের কামাল হোসেন (৪০), গোপালগঞ্জ জেলার চর মানিকদিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল মান্নানের ছেলে কামরুজ্জামান অপু (৪৭)।
পুলিশ জানায়, গভীর রাতে সাভার সার্কেলের এ এসপি শহিদুল ইসলাম থানার ওসি অপরেশন ও এসআই রিপন আহম্মেদ ধামরাই বাজারে টহল দেয়ার সিলভার কালারের একটি প্রাইভেট কার এ তল্লাসি করা কালে গাড়ীতে থাকা দিদার-১ ও দিদার-২ ও ড্রাইভারের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।এক পরযায়ে তারা স্বর্ণের কারবারের বিষয়টি বলে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে
পটল গ্রামের রুবেলকে আটক করে। পরে একই গ্রামের কামাল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রধান হুতা বছিরকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ১২টি স্বর্ণের চেইন, ২টি স্বর্ণের বার, ১টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, স্বর্ণের আংটি ২টি, রেডমি নোট-৮ মডেলের ১টি মোবাইল ফোন, এক্স সিলভার কালার প্রাইভেট কার আটক করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা।
আরো জানা যায় জৈনক মামুন নামের এক ব্যাক্তি সিংগাপুর হতে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ এনে রুবেলের মাধ্যমে ধামরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় এ স্বর্ণ বিক্রি করে থাকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন বিদেশ হতে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ধামরাই সহ আশপাশের এলাকায় স্বর্ণ চোরাকারবারি ব্যবসা করে আসছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) দীপক সাহা বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে ৫ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।
এব্যাপারে থানা এসআই রিপন আহম্দে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা নং-০৯।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন