শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামের সবক’টি নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ, ১৯টি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে

কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম বেবু | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ১০:৪৯ এএম

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫সে.মি, চিলমারী পয়েন্টে ১০ সে.মি, ধরলা ব্রীজ পয়েন্টে ৪২ সে.মি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। ঘর-বাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে চরাঞ্চল ও নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ। প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারও বন্যার কবলে পড়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে তারা।
ধরলার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চর ও সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। একইভাবে তিস্তার ভাঙনে দলদলিয়া ইউনিয়নের সরদারপাড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলায় ১৯টি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে ১১টি পয়েন্টে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বড় বন্যার আশঙ্কায় মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে স্কুল এবং আবাসনগুলোকে প্রস্তুত রাখা এবং বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে উদ্ধারে নৌকা প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুদ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন