আবদুল আউয়াল ঠাকুর
সরকারের একটি মহল যখন জঙ্গি দমন নিয়ে এক ধরনের আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে চেষ্টা করছে তখন এর বিপরীত চিত্রটি দেশের জন্য ক্রমান্বয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সরকারের ওই মহলের কণ্ঠে সবকিছু ঠা-া করে দেয়ার কঠোর ও কঠিন আওয়াজ শোনা গেলেও বাস্তবে দেশের উন্নয়ন থেকে শুরু করে সবকিছুই যেন গিলোটিন আটকা পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বশেষ অভিযানে ব্যাপক সফলতার কথা বলা হলেও তা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। বলা হচ্ছে, ঘটনায় জানালার কাচ ভাঙেনি। পায়ের কেডস নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেকের গুলিই পেছন দিক থেকে লাগার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। চলমান এবং এ ধরনের চলে আসা প্রায় প্রতিটি অভিযান নিয়ে যেসব সফলতার কথা বলা হয়ে আসছে তার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রই কোনো না কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেকে এ ধরনের অভিযানকে এক গভীর নীলনকশার অংশ হিসেবে মনে করতে চান।
অপরাধ বিজ্ঞানে একটা কথা রয়েছে, যখন কোনো অপরাধীকে সরাসরি খুঁজে পাওয়া যাবে না তখন ঘটনা থেকে কে বা কারা উপকৃত হয়েছে সেদিকে নজর রাখতে হবে। কারণ সেখানে অপরাধী নাও থাকতে পারে। তবে অপরাধীরা সুবিধাভোগীদের পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আজকের বাংলাদেশে যা ঘটছে তা থেকে কে বা কারা উপকৃত হচ্ছে বোধকরি তা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। গুলশান হামলা এবং চলমান ঘটনার প্রেক্ষিতে নতুন করে দুটি বিষয় খবর হয়ে এসেছে। ১. বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ দখল করতে চাই না। ২. সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাব উঠেছে ভারতের আসামের বিধানসভায়। এ আলোচনায় বলা হয়েছে, যে দেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি, যে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেকাংশে ভারতের ওপর নির্ভরশীল, সে দেশে ক্রমাগতভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হবে, এটা মানা যায় না। প্রয়োজনে শক্তি প্রদর্শনের কথাও বলা হয়েছে। অন্য খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশে সাময়িকভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সব অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে একের পর এক কর্মসূচি বাতিল করছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান। ইতোপূর্বে ঘোষিত অর্ধ ডজনেরও দেশি-বিদেশি কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, একইভাবে নতুন কোনো অনুষ্ঠান বা কর্মসূচির পরিকল্পনার বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কূটনীতিক ও স্টাফদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু করেছে। আপাতত স্টাফদের পরিবারকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার অপশন দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বিদেশিদের কথা আলাদা। খোদ দেশেই নিরাপত্তা ভাবনা এখন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। মন্ত্রিসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এই বাস্তবতায় সরকারের গৃহীত কর্মপন্থা ও প্রচারণার কারণে সবচেয়ে বেশি অক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ। দেশে এখন তরুণ যুবকদের ঘর থেকে বের হওয়াই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বিদেশেও তাদের এখন সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ক্রেডিট ট্রান্সফার করা প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বলার অপেক্ষা রাখে না, এরপর হয়তো বিদেশে যেসব বাংলাদেশি রয়েছে তাদেরও দেশে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে। দেশে তরুণ যুবকদের থাকা-খাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, লোম বাছতে কম্বল উজাড়ের মতো। জঙ্গিদের খোঁজে রাজধানীর বিভিন্ন মেসে পুলিশের তল্লাশির নামে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ কর্মজীবী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীরা। পুলিশ আতঙ্কে অনেকে মেস ছেড়ে আত্মীয়স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মেসগুলোর মধ্যে মাদরাসার শিক্ষার্থী থাকলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, মেস মেম্বারদের গভীর রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে। অন্য খবরে বলা হয়েছে, মিরপুর পল্লবীতে ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে নিষেধ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লা। এই নির্দেশের পর অনেক বাড়িওয়ালাই বাড়ি থেকে মেস উঠিয়ে দিচ্ছেন। শুধু মিরপুর নয়, সারা দেশেই মেস ভাড়ায় আগের চেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে সঙ্গত বিবেচনা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, সেই বৃটিশ আমল থেকে চলে আসা মেস পদ্ধতি বাতিল হয়ে গেলে যেসব কর্মজীবী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীদের জন্য মেস অপরিহার্য তারা কোথায় যাবে। এর নানামাত্রিক নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিসহ সমাজের নানা স্তরে পড়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। ব্যাপারটি কেবলমাত্র মেসের বেলাতেই নয়। কিছু দিন থেকে যেসব তরুণ শিক্ষার্থী বাসাবাড়িতে গিয়ে টিউশনি করে তাদেরও সন্ধ্যার পর বের হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেককেই বিনা কারণে থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। মামলার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলছে না। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তো কথাই নেই। রাস্তায় যেসব তরুণ এখন বের হয় তাদের করুণ দশা দেখলে রীতিমতো নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। রাস্তায় দীর্ঘ লাইন করে ঊর্ধ্বে দুই হাত তুলে তল্লাশি করা হচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগে, কার্যতই আমরা কোনো স্বাধীন দেশের নাকি কোনো নিয়ন্ত্রিত শক্তির পদতলে রয়েছি। তরুণ সমাজ হচ্ছে উদ্যোমী। তারাই জাতির ভবিষ্যৎ। বাস্তবতা হচ্ছে, সেই তরুণ সমাজকেই আজ ব্যাপক সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। গত কিছু দিনে দেশের কোনো নাগরিকই যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এভাবে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। দেশের নিরীহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে হয়তো কিছুক্ষণ তৃপ্তি পাওয়া যেতে পারে, তাতে মূল সমস্যার কোনো সমাধান রয়েছে এমন ধারণা বোধহয় পাগলেও করে না। দেশের অর্থনীতিসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাই এখন বলতে গেলে বিপর্যস্ত। এ অবস্থা আগে ছিল না। সুতরাং কী কারণে এবং কেন কাদের স্বার্থে এসব হচ্ছে তার অনুসন্ধান জরুরি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যখন বলছেন, বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ বা দখলের কোনো মনোভাবই যুক্তরাষ্ট্রের নেই তখন আসামের পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাথে থাকার ভারতীয় ঘোষণা অবশ্যই সামগ্রিক বিবেচনার দাবি রাখে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল। সে সূত্র ধরে যদি এ আলোচনার সূত্রপাত হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু মূল প্রসঙ্গ নিয়েই যে কথা উঠেছে তাকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই অভিযানকে আইএসপিআর সফল বলে উল্লেখ করলেও যেসব তথ্য-প্রমাণ এবং প্রশ্নাদি উত্থাপিত হয়েছে তাতে কিন্তু হামলাকারী কারা এ নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে বড় বিবেচ্য হচ্ছে, হামলা থেকে কারা উপকৃত। প্রকাশ্যত এটা দেখা যাচ্ছে, যে নামে যেভাবেই বলা হোক কথিত সন্ত্রাসের সূত্র ধরে সন্দেহের আঙ্গুল কিন্তু ইসলাম ধর্মের দিকেই তোলা হয়েছে। অতীতে যা কখনো করা হয়নি। এই সূত্র ধরে এবারই ১. খুতবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ২. ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। গার্মেন্ট-চামড়া শিল্পসহ সব রফতানিমুখী শিল্পের অবস্থাই এখন নাজুক। কারণ বিদেশিরা আসতে ভয় পাচ্ছে। বলা হচ্ছে, গুলশান হামলায় যেসব ইলাতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন তারা বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর এ ধরনের ভাবনারও অবসান হয়েছে। এ ক্ষতি দেশের। স্বভাবতই এরা এরপর অন্য কোনো দেশকেই বেছে নেবে। সে ক্ষেত্রে লাভ অন্যদের, ক্ষতি বাংলাদেশের। গুলশানের হোটেল-রেস্তোরাঁয় বড় ধরনের বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এ কথা কারো পক্ষেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, একটি বিশেষ দিকে নিয়ে যেতে খুবই পরিকল্পিত ভাবনা কার্যকর করা হচ্ছে। আসামের পার্লামেন্টে একটা সত্যি কথা বলা হয়েছে। তা হলো, বাংলাদেশ এখন দারুণভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারতমুখী। এ কথার তাৎপর্য কারো না বোঝার কথা নয়। আসামের পার্লামেন্টে যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাবের পর বাংলাদেশের সরকারি মহলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ থেকে কী বার্তা দেয়া হচ্ছে তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। সরকারের যে মহল দেশের রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে সর্বক্ষণ তৎপর, কথা মাটিতে পড়ার আগেই যারা লুফে নেয় তারা এত বড় প্রসঙ্গ নিয়ে কোনো সাধারণ মন্তব্যও কেন করল না এটা বোঝা দায়? এখানে আরো একটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আসা দরকার যে, অব্যাহত হামলা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে যতটুকু কর্মসংস্থান ছিল তাও নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই বেকারের চাপ অত্যন্ত বেশি ; এখন তা আরো বাড়বে। ফলে অর্থনীতির যতটুকু আলো দেখা যাচ্ছে তাও হারিয়ে যেতে বাধ্য। এর ফলে ভিন্ন আশঙ্কাও অমূলক নয়। ফলে বহিঃ আক্রমণ সহজ হয়ে উঠবে। চলমান হামলাগুলোর নেপথ্যচারীদের কিন্তু এখনো চেনা যায়নি। সে বিবেচনায় আলোচ্য হামলা এবং এর নানাদিক বিশ্লেষণ করলে এটা বলতেই হবে, মুখে যে যা-ই বলুক এর পেছনে যারা, তাদের সাথে কোথাও না কোথাও সম্পর্ক রয়েছে তাদের, যারা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ দেখতে অপছন্দ করে।
বন্যায় ভেসে যাচ্ছে দেশ, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে জঙ্গি দমন নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তার তাৎপর্য কোনো বিবেচনাতেই কম নয়। কথিত জঙ্গি ঘটনার সাথে সেই পুরনো বস্তাপচা আলোচনা যুক্ত করে বিএনপিকে দায়ী করার হীনমন্যতায় ব্যস্ত সরকারি মহল। দেশ যে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে সে কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন। এই ঝুঁকি দেশি না বিদেশি পরিচিত না অপরিচিত সে কথা বোধকরি পরিস্থিতি বিশ্লেষণে অর্থহীন। প্রধানমন্ত্রী যখন কোনো বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তখন তার গুরুত্ব কোনো বিবেচনাতেই খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এ থেকে যা কিছু হতে পারে তা হলো, যেভাবে বিএনপি তথা গণতান্ত্রিক নেতা-কর্মীদের নানা অজুহাতে ধরপাকড় করা হচ্ছে সে সূত্র ধরে হয়তোবা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃস্থানীয়দের কারাগারে নিক্ষেপ করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে সমীকরণ দাঁড়াবে তা হলো বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারাগারে রেখে জাতীয় পার্টিকে সামনে এনে তথাকথিত নির্বাচনের প্রহসন পরিচালনা করা হতে পারে। এ ধরনের ফর্মুলা হাতে নিয়েই হয়তো কথিত জঙ্গি হামলার সূত্রে ইতোমধ্যেই বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলোর হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং করার পাঁয়তারা চলছে। ২০১৪ সালে এক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলকে। ওই নির্বাচন সমর্থন করেছিল ভারতের তৎকালীন সরকার। এবার কথিত আইনের ধুয়া তুলে একই কাজ করা হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্তÍ হয়ে অন্যের পশ্চাৎ ভূমিতে পরিণত হবে। সে বিবেচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রকারান্তরে তিনি কী বলতে চেয়েছেন সেটিই দেখার বিষয়। কে বা কারা বাংলাদেশকে গিলে খেতে চাচ্ছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে দেশে এখন যা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। কার্যতই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।
awalthakur@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন