হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফের চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় তার দুই
চাচাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদেরকে বাঘহাতা গ্রাম থেকে
গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন নিহতের চাচা তৈয়ব আলী (৩৮) ও রফিকুল
ইসলাম রবি (৩৫)। এ ঘটনায় নিহতের মা জরিনা বেগম বাদি হয়ে ৪ চাচার বিরুদ্ধে
থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান,
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বাঘহাতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে
গ্রেফতার করেছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, আধুনিক
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে
কারাগারে প্রেরণ করা হবে। অন্যদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।
পুলিশ জানায়, বানিয়াচং উপজেলার বাঘহাতা গাজীপুর গ্রামের সৌদিআরব
প্রবাসী আব্দুর রহমানের একমাত্র ছেলে কাগাপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি
আব্দুর রউফের (২৬) লাশ গত রোববার সকালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী জুয়াইল্যা নদী
থেকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.
এরশাদ আলী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে। পরদিন সোমবার
ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় তার মা জরিনা
বেগম বাদি হয়ে নিহতের চাচা তৈয়ব আলী (৩৮), রফিকুল ইসলাম রবি (৩৫), শুকুর আলী
(৪০) ও চাচাতো চাচা শাহাজ উদ্দিন শাহার (৪৫) বিরুদ্ধে বুধবার রাতে বানিয়াচং
থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান
চালিয়ে তৈয়ব আলী ও রফিকুল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করে। নিহত আব্দুর রউফ শচীন্দ্র
কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন