ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (এমবিএল) ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ বুধবার (২২ জুলাই) ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমবিএল হচ্ছে শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি ও এমএনসি কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে সৌন্দর্য ও সুস্বাস্থ্য খাতের পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে এমবিএল একটি অত্যন্ত বিশ্বস্ত নাম।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সৌগতা গুপ্ত সভাপতিত্ব করেন। সভায় ম্যারিকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশীষ গোপাল্, পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সঞ্জয় মিশ্রা, ভিভেক র্কাভে ও স্বতন্ত্র পরিচালক রোকিয়া আফজাল রহমান, মাসুদ খান ও ব আশরাফুল হাদিসহ কোম্পানির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল মাধ্যমে করা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। সভায় কোম্পানির পক্ষ থেকে উপস্থাপিত সবগুলো এজেন্ডা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এজিএমে অনুমোদিত উল্লেখযোগ্য এজেন্ডাগুলো ছিল- কোম্পানির পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের নিরীক্ষিত ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট বা নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন, ম্যারিকো বাংলাদেশের অনুমোদিত মোট লভ্যাংশের ঘোষনা, পরিচালকগণের নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন, স্বতন্ত্র অডিটর বা নিরীক্ষক নিয়োগ অনুমোদন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটি হলো ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ১১তম এজিএম।
এজিএমে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২০ টাকা হারে) অনুমোদন করা হয়েছে। উক্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্তবরর্তীকালিন ৭৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৭৫ টাকা) ঘোষণা ও বিতরণ করেছে। ফলে চলতি ২০২০ সালের ৩১ মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের অনুমোদিত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫০ শতাংশ (প্রতি শেয়ারে ৯৫ টাকা)।
সভায় বক্তব্য প্রদানকালে ম্যারিকো বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৌগতা গুপ্ত কোম্পানির কার্যক্রমের সফলতা তুলে ধরে বলেন, আলোচ্য অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে ২৬৫ কোটি টাকা। আর মোট আয় হয়েছিল ৯৮০ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৪ দশমিক ০১ টাকা।
সভায় জানানো হয়, বিগত অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও ডিউটি বা শুল্ক বাবদ সরকারের কোষাগারে মোট ৩২৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। আলোচ্য বছরেও ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড সরকার এবং ইউএনডিপি সাথে মিলিতভাবে স্বপ্ন প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে তার সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। এছাড়া কোরোনা প্যান্ডামিক চলাকালীন কোম্পানি জনস্বার্থ বিবেচনায় বাজারে এনেছে মেডিকার সেইফ্ লাইফ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড-ওয়াশ যার প্রথম ছয় মাসের মুনাফা প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে প্রদানের অঙ্গীকার করেছে কোম্পানিটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন