মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালুচ কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অফিসসহ বাসভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ঝুঁকি নিয়েই পরিত্যক্ত ভবনে অফিসিয়াল কাজসহ গরুর প্রজনন কাজ চলছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন রয়েছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের তালুচ বাজার সংলগ্ন এলাকায় পশুসম্পদ বিভাগের কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টটি অবস্থিত। এই প্রজনন কেন্দ্রের ভবনটির ভেতরে ও বাহিরে দেওয়াল ও ছাদে ফাটল ধরেছে। ছাদের রডগুলো কংকালের মতো বের হয়ে রয়েছে। এই বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। পানিতে অফিসের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। পানি থেকে রক্ষার্থে কক্ষের ভেতরেই পলিথিন টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে। ছাদের চারপাশে ছানসেট ঘেঁষে বড় বড় আগাছা জন্ম নিয়েছে। দরজা-জানালা ভাঙ্গা। অনেক জানালার রডও নেই। এরই মধ্যে পশুসম্পদ বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রজনন কাজ চলছে। কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে কর্মরত ফিল্ড অ্যাসিসট্যান্ট রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থার বর্ণনা করে তিনি “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, এই ভবনটি আগে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অফিসসহ বাসভবন ছিল। ভবনটি দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কার ও মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ফলে অনেক আগেই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। উপজেলা পশুসম্পদ বিভাগ গুনাহার ইউনিয়নের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে ভবনটি দখল নেয় এবং জরাজীর্ণ ভবনেই কাজ শুরু করে। তিনি আরো জানান, এই ভবন থেকেই ইউনিয়নের গবাদিপশুর চিকিৎসা পরামর্শসহ গরুর বীজ প্রজনন প্রদান করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬টি গরু বীজ প্রজনন করে থাকেন। এছাড়াও সামনে কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে এই প্রজনন কেন্দ্রে গুরু-ছাগলের চিকিৎসা সেবা বেড়েছে। ঝড়-বৃষ্টি এলে অনেকটা নিরাপত্তার অভাব মনে করলেও সরকারি কাজের দায়িত্ব পালনে ঝুঁকি নিয়েই ভবনটিতে অবস্থান করেন। বৃষ্টি এলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। অফিসের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান কাগজপত্র ও ঔষধ রক্ষার জন্য ছাদের নিচে দিয়ে পলিথিন টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন। দ্রুত ভবনটি সংস্কার না করা হলে, বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা বিরাজ করছে। তিনি ভবনটি দ্রুত সংস্কার অথবা কৃত্রিম এই প্রজনন পয়েন্টটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিও কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন