আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে পেটানোর পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যাকা-ের পর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকায় এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের নাম সালমা আক্তার (৩০)। তিনি উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বগাদী গ্রামের আমানউল্লাহ মিয়ার মেয়ে। ১০/১২ আগে পার্শ্ববর্তী কান্দাপাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে সোহেলের সাথে তার বিয়ে হয়। সালমার হালিমা (৮) ও সোহানা (৩) নামে ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে হালিমা কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সালমার বাবা আমানউল্লাহ জানায়, বিয়ের পর থেকেই সালমার স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে মেয়ের উপর নির্যাতন চালাত। সে সারাদিন নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকত এবং কোন কাজকর্ম করত না। সোহেল প্রায়ই সালমার কাছে নেশার টাকা দাবি করতে। টাকা দিতে না পারলেই চালানো হত অমানুষিক নির্যাতন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বসিয়ে স্বামী সোহেলের বিচার করা হয়। ঘটনার দিন সোমবার রাত ২টার দিকে স্বামী সোহেল সালমার পিতাকে মোবাইল ফোনে জানায়, আপনার মেয়ে ঘরের বাইরে পড়ে আছে, এসে দেখে যান। নিত্য দিনের মতো ঘটনা মনে করে আমানউল্লাহ মেয়ের বাড়িতে যাননি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা খবর দেয় যে, সালমার লাশ স্বামী সোহেলের ঘরের বাইরে পড়ে আছে। আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে কিছু বুঝা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। স্বামী সোহেল ও তার পরিবারের সকলে পালিয়ে গেছে। তবে স্বামী সোহেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন