শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দৌলতদিয়ায় পানির নিচে ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক

ভোগান্তিতে যাত্রী-চালকরা

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

পদ্মা নদীর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার দৌলতদিয়া অংশে সচল থাকা দুটি ঘাটের সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সংযোগ সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই খানা-খন্দের মধ্যেই ফেরি থেকে যানবাহন লোডিং ও আনলোডিংয়ে বেশি সময় লাগছে আবার ভোগান্তিও বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দৌলতদিয়ায় থাকা ৬টি ঘাটের মধ্যে গত বছরের ভাঙনে বিলিন ১ ও ২ নম্বর ঘাট এখনও চলাচলের উপযোগী হয়নি। ৩, ৪, ৫ ও ৬ এই চারটি ঘাট সচল থাকলেও পানি বৃদ্ধির ফলে ৩ ও ৬ নম্বর ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কে পানি ওঠায় এই ঘাট দুটিও বন্ধ হবার পথে।

সরেজমিনে গতকাল বিকেলে দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মূল সড়ক থেকে সংযোগ সড়ক যেটি ফেরি ওঠা নামার পন্টুনের সাথে মিশেছে সেই সড়কটি পানির নিচে। হাটু পানি মাড়িয়ে কোরবানির পশুবাহী ভারি ট্রাক, যাত্রী পারাপারের বাস, প্রাইভেট কার ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। পানির মধ্যে দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। যে কারণে হেলে দুলে চলছে যানবাহনগুলো। অপরদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে গতকালও ব্যাহত হয়েছে ফেরি পারাপার। ফেরি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় ঘাটের দুই প্রান্তে সিরিয়ালে আটকে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।

বিআইডবিøটিএ দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিআইডবিøটিএ কর্তৃপক্ষ ফেরিঘাটের পন্টুন স্থাপনের কাজ ও ঘাট এলাকায় ভাঙনরোধে নদী শাসনের কাজ চলমান রেখেছে। যে সংযোগ সড়ক দুটিতে পানি উঠেছে ওই সড়ক দুটির কাজ করবে রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটের সড়কে খানা-খন্দ মেরামতের কাজ চলমান আছে। এখন পানি বৃদ্ধির কারণে সড়কে পানি উঠলে সেখানে কাজ করা কষ্টকর হবে। তারপরও সড়ক দু’টি যাতে ভালো রাখা যায় সেদিকে নজর রেখেই আমরা কাজ করবো।
বিআইডবিøটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, এই নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিগুলো ঘাটে আসতে দ্বিগুণ সময় লাগছে যে কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের লম্বা সাড়ি তৈরি হচ্ছে। এর ওপর যোগ হয়েছে মাওয়া ঘাটের বাড়তি গাড়ি। চাঁদাবাজি বন্ধে কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন এই নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। ঘাটগুলো যদি ভালো থাকে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তবে ঈদযাত্রায় কোন সমস্যা হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন