পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুইজন শীর্ষ উপদেষ্টা গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেছেন। সমালোচনার মুখে তারা পদত্যাগ করেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
এই দুই উপদেষ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জাফর মির্জাও রয়েছেন। যিনি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যত পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এবং সমালোচনার জবাবে সিরিজ টুইটে পদত্যাগের কথা জানান মির্জা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টাদের ভূমিকা এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা শুরু হওয়ায় আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জীবনরক্ষাকারী ওষুধসহ সব ধরনের ওষুধের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ছিলেন মির্জা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র সাবেক এই কর্মকর্তা সরকারে যোগ দিতে গত বছর পাকিস্তানে আসেন।
মির্জা বলেন, আমি কঠোর ও সৎভাবে কাজ করেছি। পাকিস্তানের হয়ে কাজ করা বিশেষ সম্মানের। জাতীয় প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে করোনা কমার মধ্যেই এই পদ ছাড়তে পারায় আমি সন্তুষ্ট।
এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস কানাডারও নাগরিক। তার এই দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সম্প্রতি বেশ সমালোচনা হচ্ছিল। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ডিজিটাল পাকিস্তান গড়ার যে উদ্দেশ্য সেটাকে কালো মেঘের ছাঁয়ায় ঢেকে দিয়েছে আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে করা সমালোচনা। সুতরাং বৃহত্তর জনস্বার্থে আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য পদগ্যাতপত্র জমা দিয়েছি। আমি আমার দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাজ করে যাবো।
চলতি মাসের শুরুতে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অনির্বাচিত ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে ৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। অন্য দু’জনের রয়েছে বিদেশে স্থায়ী আবাসস্থল। আর এই বিষয়টি নিয়েই বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা করছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন