নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিৎপুর হাওরে আনন্দ ভ্রমণে এসে ট্রলার ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং ২ শিশু লুবনা আক্তার (১০) ও তার বোন জুলফা আক্তার (৭)। তারা ময়মনসিংহের চরসিরতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চরভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার ৪৮ জন ছাত্র-শিক্ষক বুধবার সকালে নেত্রকোনা জেলার মদন উচিৎপুর হাওরে ভ্রমণে আসে। মদনের উচিৎপুর ঘাটে ট্রলার চালক অতিরিক্ত বোঝাই করে ২০-২৫ জনের নৌকায় ৪৮ জনের মতো যাত্রী তুলে মদনের সামনের হাওরে যায়। এ সময় প্রবল বাতাস ও নৌকায় নড়াচড়া করার কারণে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। তাদের মধ্যে সাঁতরে ৩১ জনের মতো তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা ডুবে যায়। পরে ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। দুই কন্যা শিশু পরিচয় পাওয়া গেছে, এরা হচ্ছে চরসিরতা মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭)।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ তালুকদারের জানান, রাজালীকান্দা হাওরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই শিশু কন্যাসহ ১৭ জন মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছে। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, মৃতদের লাশ বাড়িতে নেয়া ও দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন