শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বানভাসিরা খাদ্য সংকটে

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২০, ৯:৫৭ এএম

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদনদীর পানি কমতে শুরু করায় সবক’টি নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬আগস্ট)সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৫সেন্টিমিটার, ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রীজ পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নীচ দিয়ে বইছে। বিভিন্ন উঁচু স্থানে ও রাস্তায় আশ্রিতরা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে খাদ্য সংকট নিয়ে বিপাকে রয়েছে জেলার ৫৬টি ইউনিয়নের সাড়ে ৩লাখ বানভাসি মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। ইউনিয়নটি ৩২ হাজার লোকের বসবাস। এরমধ্যে চরযাত্রাপুর, নয়ারচর, অষ্টআশিরচর, ঝুনকারচর,রলাকাটা, ভগবতীপুর, কালিরআলগা, পোড়ারচর, শিবেরপাচি,খাসেরচর এবং চর পাব্বর্তীপুর এই ১১টি চর বন্যায় মাসাধিকাল বন্যার পানিতে ডুবে যায়। এসব চরাঞ্চলে ২০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর, পোরার চর ও গারুহারা এলাকার ১৫০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইয়ুব আলী সরকার জানান, বন্যায় প্রথম দফায় ৩০০ বন্যার্তদের প্রতিজনকে ১০ কেজি করে চাল এবং দ্বিতীয় দফায় ৩৫০জন বন্যার্তদের প্রতিজনকে ১০ কেজি করে চাল,১কেজি ডাল,আধা কেজি চিনি,১কেজি লবন বিতরণ করা হয়েছে।এছাড়াও ৫হাজার ৩৮৪জন হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদের আগে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।তবে এই আপদকালিন সময়ে মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন