লেবাননের বিস্ফোরণে নিহত রাশেদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর বিসমিল্লাহ বেকারী মসজিদ গলি এলাকায়। নিহতের বাড়িতে চলছে কান্নার আহাজারি ও চলছে শোক । লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ নারায়ণগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ রাশেদকে একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে । লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, মৃত মোহাম্মদ রাশেদ নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তার বাবার নাম র্মৃত হাফিজুর রহমান, মাতার নাম লুৎফর নেছা। রাশেদরা দুই ভাই দুই বোন. ভাইদের মধ্যে রাশেদ সবার বড়। তিনি লেবাননে ৬ বৎসর একটি হোটেলে কাজ করতেন।
জানা গেছে, বিস্ফেরণ এলাকা থেকে ৪০০ গজদূরে ঝিমাইজি এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন মোহাম্মদ রাশেদ। মঙ্গলবার বিস্ফেরণের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দুপুরে জলদ্বীপ এলাকার হারুন হাসপাতালে মৃত পাওয়া গেছে।
দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিক মোহাম্মদ রাশেদ বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, তাকে হারুন হাসপাতালে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রাশেদের পাসপোর্টের তথ্য থেকে জানা গেছে, তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
বৈরুতে গত মঙ্গলবার ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। মারা গেছেন পাঁচজন।
আহত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশটির তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন নিহতের পাশাপাশি ৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার জন্য দেশটির সাধারণ মানুষ সরকারের অবহেলাকে দায়ী করে রাস্তায় নেমেছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লেবাননের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দখলের ঘোষণাও দিয়েছেন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন