শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আগের মতো চোখে পড়ে না সেই চিরচেনা দৃশ্য

প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এমএ ছালাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে
কাশবনের শুভ্র-সাদা কাশফুলের নাচন দেখলেই মানুষ ধরে নিত গ্রামের প্রকৃতি সেজেছে নবরূপে। শুভ্র-সাদা কাশফুলগুলো এ সময় শুধু যে প্রকৃতিতেই পরিবর্তন নিয়ে আসত এমন নয়, বরং প্রকৃতি মাতিয়ে মানুষের মনেও ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করত এ কাশফুল। এ সময় গ্রাম-বাংলার মানুষরা যেন ভিন্ন রকম এক অনুভূতি অনুভব করতেন। এরকম কতইনা দৃশ্য নিকট অতীতেও দেখা গেছে বর্ষার শেষের দিনগুলোতে। শরতের শুরুর আগে বর্ষার শেষ দিনগুলো এলেই গ্রাম-বাংলার ঝোড়-জঙ্গল, রাস্তা-ঘাট, বিল-খাড়ি ও নদীর দুইধারসহ আনাচে-কানাচে শোভা পেত কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি। কাশবনের ফুলগুলো দোল খেত একটার সাথে আর একটা। এ সময় অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্ন রকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেত। মহাদেবপুরসহ নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকাগুলোতে এ সময়ের সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন আর চোখেই পড়ে না। কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে কাশবন। এখন গ্রাম-বাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশফুল চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ ঝোপঝাড়, বনজঙ্গল ও অন্যান্য পতিত জায়গাগুলো কেটে কৃষি জমি সম্প্রসারণ করাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা গড়ে তুলেছেন। এতে প্রকৃতিতে অপরূপ শোভাদানকারী কাশবনসহ গ্রাম-বাংলার অনেক ঐতিহ্যবাহী ও মন মাতানো দৃশ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ একটু সচেতন হলেই কাশবনসহ গ্রাম-বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন