উজানের বানের পানির কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ বেড়েছে। রয়ে গেছে ক্ষতচিহ্ন।
মাত্র দুদিনের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে শত শত পুকুরে চাষ করা মাছ। পানিতে নিমজ্জিত ৪ শতাধিক পানের বরজ, ফসলি জমিসহ নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা।
চাঁদপুর জেলার হাইমচরে ৬টি ইউনিয়নে পানি ঢুকে পড়ে। এতে তলিয়ে যায়, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের, পানের বরজ। মূলত দক্ষিণের সাগর ফুঁসে ওঠায় এবং উজানের পানির চাপে চাঁদপুরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভেঙে যায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি অংশ।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, মেঘনায় পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। সোমবার বিপদসীমার ২৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৭৯ সেন্টিমিটার।
নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করল চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় হাইমচরের মানুষ এখনো পানিবন্দি। স্বাভাবিক জীবনে তারা এখন ফিরতে পারেনি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার বিষয় নিয়ে তারা শংকিত।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন