শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চাঁদপুরে পানির নিচে কৃষকের স্বপ্ন

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনার প্রভাব কাটিয়ে না ওঠতেই বিপাকে পড়েছে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার পান চাষিরা। মরার ওপর খাড়ার ঘা মতোই অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের বরজ। হঠাৎ মেঘনার পানি বেড়ে উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী বাঁধের দুটি স্থান ভেঙে প্রায় ৫ শতাধিক পানের বরজ প্লাবিত হয়েছে। কয়েকশ বরজে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে লাখ লাখ টাকার পান। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পান চাষিরা।
জানা যায়, প্রায় ৭০ বছর আগে থেকে চাঁদপুরের হাইমচরে পান চাষ হয়ে আসছে। বাজারে পানের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি অর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় নদীঘেঁষা হাইমচরের কৃষক পান চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে। সময়ের সাথে সাথে হাইমচরের পানের চাহিদা বিদেশেও রয়েছে।
উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। এখানে প্রায় ২০০ এর বেশি চাষি এ এলাকায় পান চাষ করছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর পানের উৎপাদন ভালো হলেও বিক্রি নেই তেমন। করোনার প্রাদুর্ভাবে দিনের পুরো সময় চা-পানের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় চাষিদের পান বিক্রিতে এর প্রভাব পড়ে। এদিকে গত ৫ আগস্ট হঠাৎ মেঘনার পানি বেড়ে গিয়ে উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উত্তর আলগী ইউনিয়নের মহজমপুর এবং সাবু মাস্টারের মোড়ের অস্থায়ী বাঁধের দুটি স্থান ভেঙে যায়। বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মেঘনার পানি সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পানের বরজ প্লাবিত হয়েছে। মুহূর্তেই কয়েকশ বরজে পানি ঢুকে নষ্ট করে ফেলে লাখ লাখ টাকার পান। বর্তমানে প্রায় ৫ শতাধিক পানের বরজে হাঁটু সমান পানি।
এতে বাধ্য হয়ে অপ্রাপ্ত পান ঘরে তুলতে হচ্ছে। পান চাষি মুকবুল হোসেন জানান, এমন অপ্রত্যাশিত দুটি ঘটনায় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। পানচাষের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মালিক ও শ্রমিকদের পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, এ ক্ষতি থেকে পান চাষিদের ঘুড়ে দাঁড়াতে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন