রাজশাহীর চারঘাটে পুর্বশত্রুতার জের ধরে ৩০০ টাকার বিনিময়ে এক মাদকাসক্তকে দিয়ে দেড় বছরের শিশু আজমাইন সারোয়ার আলিফকে নদীতে ফেলে হত্যা রহস্যের উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। যাদের একজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আলিফ হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী শিশুটির মামি পারভীন বেগম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, গত ৯ আগস্ট চারঘাট থানাধীন কালুহাটি গ্রাম সংলগ্ন বড়াল নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক বছর সাত মাস বয়সী শিশু আজমাইন সারোয়ার আলিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশু আলিফের মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে তার ভাবী পারভীন বেগমকে আসামী করে চারঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
চারঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পারভীন বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, একই গ্রামের মাদকাসক্ত তার সহযোগী আজাদকে (৩৬) নিয়ে ৭ আগস্ট শিশু আলিফকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে পারভীন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ৮ আগস্ট শিশুটিকে কোলে নিয়ে পারভীন তার বাড়ীর সামনে রাস্তায় অপেক্ষমান সহযোগী আজাদের কাছে হস্তান্তর করে। আসামী আজাদ শরীর থেকে রুপার চেইন ও কোমরের বিছা খুলে নিয়ে শিশুটিকে বড়াল নদীতে ফেলে দেয়। এরপর আজাদ গিয়ে পারভীনকে রুপার চেইন ও কোমরের বিছা দেয়। এ জন্য পরভীন আজাদকে ৩০০ টাকা দেয়।
ইফতে খায়ের আলম বলেন, পারভীনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার বসতবাড়ীর ভিতর আঙ্গিনায় লিচু গাছের তলায় আবর্জনার নিচে স্তুপে পোতা অবস্থায় শিশু আজমাইন সারোয়ার আলিফের রুপার চেইন ও কোমরের বিছা উদ্ধার করা হয়। পারভীন দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৩ আগস্ট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামী আজাদকেও গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন