আপন ছোট ভাইকে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বড়ভাই। বলেছেন সম্পত্তির লোভে তিনি এই খুন করেন। গ্রেফতার সররোয়ারের এমন জবানবন্দিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের মন্দাকিনীতে সংঘটিত মুদি দোকানি আজম খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সরোয়ার। তাতে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে আটটায় বাড়ি থেকে আজমের জন্য দোকানে খাবার নিয়ে যায় সরোয়ার। খাবারে সেরিটন ট্যাবলেট, তেলাপোকা ও পিঁপড়া মারার কীটনাশক মেশায়। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ফোন করে ভাত খেয়েছেন কি না সে খোঁজও নেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই পুনরায় দোকানে এসে আজমকে ডাকতে থাকেন বড় ভাই সরোয়ার। আজম দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখনই ছুরি দিয়ে ছোটভাইকে ঠান্ডা মাথায় গলা কেটে হত্যা করেন বড় ভাই সরোয়ার। তারপর দোকানের ভিতর থেকে সাটারের দুইটা নাট খুলে রাখে এবং রাত ৩ টায় বের হয়ে তালা ও নাট লাগিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এরমধ্যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও আজম দোকান না খোলায় প্রতিবেশি দোকানি বাড়িতে খবর দেন। সে খবরে সরোয়ার, চাচাতো-ফুফাতো ভাইসহ স্থানীয়রা দোকানের ওপরের টিন খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশ জানায় জায়গা সম্পত্তি আর টাকা পয়সার লোভে ছোট ভাইকে হত্যা করে সরোয়ার। টাকা পয়সা ও ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুর হিসাব আজমের কাছেই ছিল। সে জন্যই তাকে হত্যা করা হয় । বড় ভাই সরোয়ারকে আদালত জবানবন্দি শেষে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
২ জুন সকালে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী গ্রামের জিন্নাত আলী চৌধুরী বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলমের পুত্র সরওয়ার আজমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন