ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় শাহীন আলম (২৬) নামে এক যুবক পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, ওই যুবকের পুরুষাঙ্গ হারানোর ঘটনাটি রহস্যেঘেরা। কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলছেনা।
রবিবার (০৮ জানুয়ারি) উপজেলার হাসামদিয়া এলাকার পারফেক্ট পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
পুরুষাঙ্গ হারানো ওই যুবক ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়। পুরুষাঙ্গ হারানো শাহীন পারফেক্ট পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজে সেলাই মেশিনের অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন।
স্থানীয়রা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শাহীন আলম পারফেক্ট পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভিতরের একটি রুমে থাকেন। রবিবার (০৮ জানুয়ারি) তার কোনো ডিউটি ছিলোনা। তাইতো সে রুমেই ছিলেন। হঠাৎ নিজ রুমের বাথরুমের ভিতরে তাহার চিৎকার শুনে পাশের রুমের লোকজন ছুটে আসেন। এসময় বাথরুমের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ কর্তন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিভাবে পুরুষাঙ্গ হারালো তা সে (শাহীন) নিজেও বলছেনা বলে জানান হাসপাতালটির একাধিক চিকিৎসক।
এব্যাপারে পুরুষাঙ্গ হারানো ওই যুবকের একাধিক সহকর্মীসহ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কেউ পুরুষাঙ্গ হারানোর ঘটনাটি জানাতে পারেনি।
এব্যাপারে জানতে পুরুষাঙ্গ হারানো ওই যুবকের ভাই সাদিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে আমরা এ খবর পেয়েছি। আমরা ঢাকায় রওনা দিয়েছি। তবে, কিভাবে পুরুষাঙ্গ হারালো আমার ভাই সে ঘটনা এখনো জানতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের শনিবার (০৭ জানুয়ারি) এক বিকাশের দোকানে টাকা দেওয়া-নেওয়া নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি আমরা ফোন করে সমাধান করি। এছাড়া তিন-চার মাসে আগে শাহীন বিয়ে করেন। তবে বউয়ের সাথে কোনো ঝামেলা নেই বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ছেলেটি মুখ না খোলায় কিভাবে পুরুষাঙ্গ কর্তন করা হয়েছে তা এখনো জানতে পারিনা। তবে ওই এলাকার লোকজনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাথরুম থেকে চিৎকার করে বের হন পুরুষাঙ্গ হারানো যুবক। পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তবে, ধারণা করা হচ্ছে সে নিজেই হয়তো পুরুষাঙ্গ কর্তন করে থাকতে পারেন। কারণ, বাথরুমে সে একা ছিলো বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। তবে, আসল ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন