নেত্রকোনার দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের দাবী করেছে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল ও নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন খান গতকাল শুক্রবার সকালে তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পরকিয়া প্রেমের কারণে ১৯ জানুয়ারী রাতে বাংলা ইউনিয়নের দিগলা চাতালকোনা বাজারে সামছু মেম্বারের দোকানের ভেতর ফার্মেসীর কর্মচারী হাদিস মিয়াকে (৪৫) কিল ঘুষি লাথি মেরে হত্যা করে অপরাধ ঢাকার জন্য দোকানের পিছনের ঢালা খুলে পানিতে পেলে দেয়। এ ব্যাপারে নিহত হাদিস মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকান্ডে জড়িত সামছু মেম্বার, লিটন, বাচ্চু, লালন, মজিদ ও রুবেলকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে ২ ফেব্রুয়ারী বাউসী বাজার সংলগ্ন কংশ নদী থেকে মিষ্টির দোকান কর্মচারী আব্দুল আলীমের (১৪) লাশ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। গত ১লা ফেব্রুয়ারী বিকালে মিষ্টির দোকানের কর্মচারী মোয়াটী গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে আলীমকে অন্যান্য মিষ্টির দোকানের কর্মচারী বাড়ী থেকে মিটিংয়ের কথা বলে ডেকে আনে। রাতে মিষ্টি দোকান কর্মচারী সমিতি গঠন নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃতরা আলীমকে বাজার সংলগ্ন নদীর পাড়ে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান হবি ৫ জনকে আসামী করে ২ ফেব্রুয়ারী হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত করে হত্যা কান্ডে জড়িত মামুন, মানিক, জুয়েল ও নাবিউলকে গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জুয়েল আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জুলফিকার হোসাইন রনির আদালতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী প্রদান করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন