ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৬ সাল পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর হওয়ার পথে রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ভেঙেছে অতীতের রেকর্ড। কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই এর প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলোজিক্যাল অর্গানাইজেশন। এ অবস্থায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে সই হওয়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। বিগত ১৩৭ বছর ধরে সংরক্ষণ করা বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার রেকর্ড বলছে, বিংশ শতাব্দীতে জুন মাসের গড় তাপমাত্রার চেয়ে এ বছরের জুনের তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্যমতে, এ নিয়ে ১৪ বছরে টানা ১৪ বারের মত উষ্ণতার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো। ২০১৬ সালের প্রথমার্ধের গড় তাপমাত্রা ঊনবিংশ শতাব্দীর একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, উষ্ণতার দিক থেকে এ বছরই হতে পারে পৃথিবীর ইতিহাসের রেকর্ড উষ্ণ বছর। বছর বছর তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের নির্গমনকে দায়ী করেছে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলোজিক্যাল অর্গানাইজেশন-ডব্লিউএমও। ডব্লিউএমও’র জলবায়ু গবেষক ডেভিড কার্লসন বলেন, ২০১৬ সালের প্রথম ৬ মাসের তাপমাত্রা বাড়ার রেকর্ড খুবই উদ্বেগজনক। কেবল একটি মাসই খুব গরম বা উষ্ণ ছিল তাই নয়, বিগত সবগুলো মাসের তাপমাত্রাই অন্য বছরের তুলনায় বেশি ছিল। ক্রমাগত উষ্ণতার ফলে খুব দ্রুত বড় বরফের চাদরগুলো গলতে শুরু করেছে। ফলাফল স্বরূপ, হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র। বিনষ্ট হচ্ছে আবহাওয়াজনিত ভারসাম্য। এমনটা চলতে থাকলে আবহাওয়াজনিত মারাত্মক বিপর্যয় ঘটার আশংকায় পরিবেশবিজ্ঞানরা। ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন