শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চাটখিল-চিতোষী-মুদাফরগঞ্জ সড়ক খানাখন্দে আটকা পড়ে যানবাহন ঘটে দুর্ঘটনা

প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া, লাকসাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা

চাটখিল-চিতোষী-মুদাফরগঞ্জ সড়কের কয়েক স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে প্রত্যহ অসংখ্য জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। এ রাস্তার নাম চাটখিল-চিতোষী- মুদাফরগঞ্জ সড়কের দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। চিতোষী থেকে চাটখিল ১৩ কি.মি এবং চিতোষী থেকে মুদাফরগঞ্জ পর্যন্তও ১৩ কিলোমিটার। নোয়াখালী জেলার চাটখিল, চাঁদপুরের শাহরাস্তি এবং কুমিল্লা জেলার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও বরুড়া উপজেলার লাখ লাখ মানুষের চলাচলের মাধ্যম এ সড়ক। হাসনাবাদ এলাকার ডাঃ আবুল বাশার জানান, হাসনাবাদ বাজার থেকে চাটখিল উপজেলা পর্যন্ত মোট ১৩ কিলোমিটার সড়কের কুমিল্লা জেলার অংশে নাওতলা সংলগ্নে ৬ কিলোমিটার স্থানের দুরবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলে যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অনেক লেখালেখির পরেও এ সড়কটি পুনঃনির্মাণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পড়ছে না। অপরদিকে, মনোহরগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ সড়কটি চিতোষী থেকে মুদাফরগঞ্জ পর্যন্ত মোট ১৩ কিলোমিটার। কিন্তু শুধু ৩ কিলোমিটার জায়গায় অবর্ণনীয় ভাঙ্গাচোরা অবস্থার কারণে যানবাহন যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, শাহ শরীফ ডিগ্রী কলেজ থেকে মির্জাপুর সেতু, যাদবপুর-রগুরামপুর-ফুলহরা ও চিতোষী রেলস্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার স্থানে ভগ্নদশার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকে না। এলাকাবাসীদের বহু দাবি-দাওয়ার পরও এটি মেরামতের ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। যার ফলে জনসাধারণের মধ্যে দারুণ হতাশা দেখা দিয়েছে। সড়ক নয়, যেন একটি বিধ্বস্ত কোন জনপদ। সড়ক ও জনপথের অধীন এ সড়কে প্রতিদিন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, ট্রাক, ট্রাক্টর, পিকআপসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। এই সড়কের ফুলহরা, জগতপুর, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অগণিত খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এক-দেড় ফুট গভীর এসব খানাখন্দে প্রায়ই যানবাহনের চাকা আটকে যায়। প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর একটু বৃষ্টিতেই ওইসব খানাখন্দে পানি জমে জনসাধারণের ভোগান্তির মাত্রা চরম আকার ধারণ করে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান জানান, কর্মস্থল লাকসাম থেকে দু’একদিন পর পর মোটরসাইকেলযোগে চিতোষী যাতায়াত করতে হয়। প্রায় ৪ মাস আগে রাস্তা খারাপের দরুন একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা খানাখন্দ পার হওয়াকালে আমার মোটরসাইকেলের ওপর এসে পড়লে আমার একটি পায়ের কয়েকস্থানে ভেঙ্গে যায়। সে থেকে বিছানায় পড়ে আছি। অপর বাসিন্দা মোঃ আবুল কাশেম জানান, রাস্তা মেরামতের জন্য স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বারবার ধর্না দিলেও উপরের বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলহরা ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাস্তাটি মেরামতে আমরা উপর মহলে তদবির করেও কোনো ফল পাইনি। তাছাড়া এ রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ চাঁদপুর অঞ্চলের আওতায় হওয়ায় আমাদের সরাসরি কিছু করার থাকে না। রাস্তাটি সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণে এলাকাবাসী কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ), নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী), চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তি) ও কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের সংসদ সদস্যগণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন