শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কাপুরুষতা নিয়ে রাজপথে আসবেন না

মানববন্ধনে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ভিপি নুর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বিএনপির সুবিধাবাদী নেতাদের কার্যত বাঁশ দিলেন। বিএনপির উদ্দেশে সাবেক ভিপি নুর বলেন, বিএনপির যারা রাজনীতি করেন তারা কাপুরুষতা নিয়ে রাজপথে আসবেন না, রাজনীতি করবেন না। রক্ত ঝরবে, মার খাবো রাজপথ ছাড়বো না। ২০০ জনের উপস্থিতিতে ২০ জন পুলিশ আসবে আর চলে যাবো এটা আন্দোলন নয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন। বক্তৃতা করেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা সাবেক সেনা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন, সিরিন আক্তার, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

নুরুল হক নুর বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মেজর (অব.) সিনহা হত্যা অনাকাক্সিক্ষত বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটা পরিকল্পিত হত্যা। যারা অনাকাক্সিক্ষত বলছেন তারা এটার পক্ষে সাফাই গাইছেন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কাপুরুষতা নিয়ে রাজপথে আসবেন না। রক্ত ঝরবে, মার খাবো কিন্তু রাজপথ ছাড়া যাবে না। পুলিশকে বোঝাতে হবে, সব পুলিশ অমানুষ না। ভালো মানুষ আছে অনেক সংখ্যক। আমাদের দিকে তাকান। আমাকে বার বার আক্রমণ করা হয়েছে, রক্ত ঝরানো হয়েছে তবুও রাজপথে আছি, থাকবো। তিনি আরো বলেন, মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে বড় মহামারি চলছে। সর্বত্র অথর্ব লোক বসানো হয়েছে, তারা লুটপাট করছে। প্রশাসনে দলীয়করণ করে ভেঙে দেয়া হয়েছে। এখন একটাই পথ খোলা আছে অথর্ব লোক হটিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে। বিএনপি যদি সেটা চায় তাহলে পুলিশের ভয় আর পিঠ বাঁচানোর মানসিকতা পরিহার করে রাজপথে নামতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আদালতে রিট হয়, এরপরও ওসি প্রদীপরা গোল্ড মেডেল পায় কার ইশারায়? কীভাবে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড হয়। কারা জড়িত প্রকাশ করুন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হোক। সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক কারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত। কী চায় তারা। প্রদীপের গোমর ফাঁস হয়েছে। আদালতে রিট থাকা সত্তে¡ও প্রদীপ ওসি হিসেবে থাকেন। আর একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটান। পুলিশ বাহিনীতে প্রদীপ বাহিনী আছে। আমি কোনো বাহিনী বাতিলের পক্ষে না। তবে এসব বাহিনীর মধ্যে অপকর্মকারীদের নেপথ্যে যারা আছেন, তাদের তালিকাও হওয়া উচিত।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে এখন ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর। সামরিক বাহিনী দেশ রক্ষা করবে কী, তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারছে না। পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব জনগণকে রক্ষা করা। নিরীহ জনগণকে তারা প্রতিদিন গুলি করে মারছে।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ক্রসফায়ারে শুধু মানুষের জীবন নয়, সত্য নিহত হয়ে যাচ্ছে। সত্যকে মেরে ফেলা হচ্ছে। ক্রসফায়ারের এই কালচার বন্ধ করতে হবে। বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকান্ড নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির বৈদেশিক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেন, যাদের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন হয়, তাদের সাথে পশুর মতো আচরণ করে তাদের হত্যা করছেন। এটি বন্ধ করেন। তিনি বলেন, আমরা প্রেসক্লাবের সামনে গণআদালত বসাবো। জনগণ হবে এর বিচারক, জনগণের সামনে এই খুনি ওসি প্রদীপসহ যারা বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছেন, সকলের তালিকা আমাদের কাছে আছে। তাদের সকলকে আমরা বিচার করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন