লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে সভা বয়কট করেছেন কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান।
গত বুধবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক সাধারণ সভায় এ ঘটনা ঘটে।
সংক্ষুব্ধ চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী,পোড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার জানান,উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল তার ক্ষমতার দাপটে আমাদের এ দুই চেয়ারম্যানের দুটি ব্রীজ নির্মাণ কাজের বিল আটকে দেন। হতদরিদ্রদের কাজ পরিদর্শণের জন্য লক্ষ্মীপুর থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে আসেন। দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য তদবির করে জেলা কর্মকর্তাকে নিয়ে আসেন। কোভিড-১৯ এর টাকা উত্তোলন করে কিভাবে খরচ করেছেন তা আমরা জানিনা। চর বাদাম ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তার ভাই ভাতিজাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের সুযোগে তিনি স্থানীয় সাংসদকে প্রভাবিত করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুপারিশ করান।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য স্বংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ রয়েছে। যতদূর জানি তারা ব্রীজের স্লাবের হুইলগার্ড, ওয়ারিং কোর্স এবং প্লাষ্টার না করায় তাদের বিল দেয়া হয় নাই। এখানে আমার কোন হাত নেই। হতদরিদ্রদের কাজ কিংবা দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখা উর্ধতন কর্মকর্তাদের রুটিন ওয়ার্ক। তারা ভাল কাজ করে থাকলে বিল পেয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে আমার কি ক্ষমতা আছে। আমিতো সরকারী কর্মকর্তা নই, আমার কথামত ম্যাজিষ্ট্রেট কেন আসবেন। কোবিড-১৯ এর জন্য সরকারের জরুরী বরাদ্দের বিপরীতে প্রকল্প গ্রহন ও টাকা উত্তোলন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ। তবে তা কি কি খাতে খরচ করা হতো তা আমাকে অবগত করা হতো। চর বাদাম ইউপি চেয়ারম্যানের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সেখানে কার কি করার আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, নিজের মধ্যে সামান্য কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এগুলো আগামী মিটিংয়ের পূর্বে বসে মিটিয়ে ফেলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন