ফ্রান্সে প্রকাশ্যে মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এর সমালোচনা করে তিব্র প্রতিবাদ জানালেও দেশটির সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এটাকে তাদের বাক স্বাধীনতা বলছে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মুসলমানরা। সারাবিশ্বের মুসলমানদের পাশাপাশি ইসরায়েলসহ অন্যান্য দেশেও চলছে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। বিশ্বনবী (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা। ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রান্সে পণ্যের তালিকা দিয়ে সেগুলো বর্জনের ডাক দিচ্ছে তারা। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে তারা ‘বয়কট ফ্রেঞ্চ’, ‘বয়কট ফ্রেঞ্চ প্রডাক্টস’ ইত্যাদি ক্যাম্পেইন করছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ‘‘শয়তানকে পাথর মারলে সেই পাথরের আঘাতে শয়তান মারা যায় না। এটা ক্ষুদ্র কঙ্কর। এই কঙ্কর নিক্ষেপ বিতাড়িত শয়তানের বিরুদ্ধে একটি প্রতীকি প্রতিবাদ। শয়তানের কূমন্ত্রনার বিরুদ্ধে। মানুষকে বিপথগামিতার বিরুদ্ধে। শয়তানের শয়তানীর বিরুদ্ধে। তাই শয়তানদের পণ্য বয়কট করাও একটি প্রতীকি প্রতিবাদ। আর তা যতই ক্ষুদ্র হোক। যতই কঙ্করসম হোক। ইসলাম বিদ্বেষী ফ্রান্সের পণ্য বয়কট আমাদের একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবাদ। রাসূল (সাঃ)-কে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঘৃণ্যতম অবমাননার বিরুদ্ধে এই বয়কট আমাদের ঈমানি অবস্থান। আমাদের নিজেদের জীবনের চাইতেও প্রিয়তম রাসূল (সাঃ)এর অবমাননাকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে এটাই আমাদের নিন্দার ভাষা। এটাই শয়তানের উদ্দেশ্যে আমাদের প্রতীকি কঙ্কর নিক্ষেপ। জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ভাষায়-‘রাসূলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসূলের দুশমন।’’
মুহাম্মদ ফরহাদ খান তার ফেইসবুক প্রোফাইলে লিখেন, ‘ফ্রান্স তুমি ইসলামের ইতিহাস পড়নি! ঐ সত্তার কসম খেয়ে বলছি, আমার প্রিয় নবী (সাঃ)-কে অসম্মান করছো, আমরা মুসলমান রাষ্ট্রগুলো আজ নিরব থাকলেও আল্লহ তার হাবিবের অসম্মান বরদাস্ত করবেন না, ইনশাআল্লাহ। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলে ধ্বংস অনিবার্য।’
ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে এমডি এনামুল হক লিখেন, ‘বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সঃ)-কে অবমাননা করার কারণে ফ্রান্সকে ধিক্কার জানাই এবং আমি তাদের সকল পণ্য বর্জন করলাম। আপনিও করুন।’
জান্নাতুল নাঈম মনি মনে করেন, ‘পুরো দুনিয়ার মুসলিমরা যদি এসব বদমাশ রাষ্ট্রগুলাকে বয়কট করা শুরু করে, এরা কেঁদে কূল পাবে না। হাতে ভিক্ষার থালা নিয়ে ভিক্ষা করবে। এরা নিজেদের সীমা ভুলে গেছে। তাই এদের জায়গাটা দেখিয়ে দেয়া দরকার।’
ইজাজ ভুইয়া লিখেন, ‘মুসলিম বিশ্ব ইউরোপ আমেরিকার পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিলে ইউরোপ আমেরিকা না খেয়ে মরবে,কিন্তু আমরা মুসলিমরাই ঠিক নাই, এক হতে পারি না। একবার সমস্ত মুসলিম দেশগুলো বর্জন করে, ওদের শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে বুঝিয়ে দেওয়া উচিৎ যে, মুসলিমরা তোদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কি পরিমাণ ভূমিকা রাখে।’
‘ইনশাআল্লাহ, আমিও বয়কট করেছি ও মনে মনে পোষণ করেছি, জীবনে জেনে শুনে কখনও তাদের পণ্য ব্যবহার করবো না। আপনি করেছেন তো?’ - ওহাব সরকারের জিজ্ঞাসা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন