সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অ্যাপ্রোচ নির্মাণ নিয়ে চলছে প্ল্যান পরিবর্তনের প্রতিযোগিতা

দুই বছরেও শেষ হয়নি কালনী সেতুর কাজ

প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আব্দুল বাছির সরদার, দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে : দিরাই উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ‘কালনী সেতু’ ভিত্তিপ্রস্তরের ১৮ মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত ২ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও শেষ হচ্ছে না তার কাজ। আর সড়ক নির্মাণ নিয়ে চলছে এক ধরনের প্লান পরিবর্তনের প্রতিযোগিতা। এমন অবস্থায় কালনী সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন- কবে শেষ হবে এর কাজ? কখন পাবে জনগণ এর সুফল? তবে গত সোমবার উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জানান, আজ থেকে অ্যাপ্রোচের কাজ শুরু হচ্ছে। দিরাই উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২১০ মিটার দৈর্ঘ ও ৬.১০ মিটার প্রস্থের এই সেতুটির প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৫৭ টাকা, আর চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮৭ টাকা ৬৯ পয়সা। ৫৪০ দিনের বাস্তবায়ন কালের এই সেতুটিতে স্প্যান ৫টি, এব্যাটমেন্টে ৩০ মিটার দৈর্ঘ ৭০০ মিঃমিঃ ডায়া ৫০টি এবং পায়ারে ৪০ মিঃ দৈর্ঘ ১ হাজার ২০০ মিঃমিঃ ডায়া ৪৮টি পাইল। উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের এই কাজের নাম ধরা হয়েছে চান্দপুর-রজনীগঞ্জ সড়কে ০০মিঃ চেইনেজে কালনী নদীর উপর ২১০ মিঃ স্প্যান পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। সূত্র মতে, ২০১২ সালের ৩০ জুন তৎকালীন দফতর বিহীনমন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি প্রধান অতিথি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কালনী নদীর উপর নির্মিত এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য দিরাইবাসীর দীর্ঘদিনের একটি বড় দাবি ছিল কালনী নদীতে একটি সেতু নির্মাণ। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর যদিও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, কিন্তু এর সুফল আর কত দিন পর দিরাইবাসী ভোগ করবে- এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। নামপ্রকাশ না করার শর্তে চান্দপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন এ প্রতিবেদককে জানান, মূলত এই ব্রিজ দেখিয়ে আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে, কবে শেষ হবে এর নির্মাণ কাজ এবং এটি জনগণের জন্য কবে উন্মুক্ত হবে- তা আল্লাহই ভালো জানেন। দিরাই উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা ফ্লাইওভার পদ্ধতির অ্যাপ্রোচের কাজ আগামীকাল শুরু করব, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে তার ধারণা-উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই সেতুর সংযোগ সড়ক করিমপুর-জগদল-হোসেনপুর হয়ে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হবে। আর এই সংযোগ সড়কটির কাজের অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাংক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন