মীরসরাইয়ে একশেণির বনখেকো মানুষের থাবায় সাবাড় হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চল। উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের সবুজ বনায়ন নিধন যেন থেমে নেই। রাতের আঁধারে কেটে নেয়া হচ্ছে সবুজ বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ। বিট কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেটে নেয়া গাছগুলো নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন স’মিল ও কাঠের দোকানে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ বনদস্যুদের সাথে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কমফোট হাসপাতালের সামনে থেকে ৮ পিস সেগুন কাঠসহ একটি পিক-আপ আটক করে স্থানীয়রা। এই সময় পিক-আপের চালক কাঠগুলো করেরহাটের জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বলে জানান।
জানা গেছে, করেরহাট রেঞ্জের আওতায় ১২ হাজার ৮৯ একর বন ভ‚মি রয়েছে। এই বনে সেগুন, আকাশমনি, মেহগনি, গামারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫শ’ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করেছেন বন কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে ৩৫৭.৯৫ ঘন ফুট সেগুন, ৯৯ ঘন ফুট জ্বালানি কাঠ ও ৬ গোল্লা আকাশমনি। এছাড়া সরকারি বনের গাছ কাটা সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ১০টি। সর্বশেষ চলতি মাসের ১ তারিখে জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করে মামলা করে বন বিভাগ।
এই বিষয়ে জামাল উদ্দিন বলেন, নতুন বাড়ির দরজার জন্য কাঠ ক্রয় করেছিলাম। অবৈধ কাঠ ব্যবসার সাথে জড়িত নই। জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এক শ্রেণির মানুষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
এই বিষয়ে করেরহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নইমুল ইসলাম বলেন, বনদস্যূদের সাথে বন কর্মকর্তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
করেরহাট চেক স্টেশনের মাধ্যমে সড়কে যাতায়াতকারী সকল কাঠের গাড়ি চেক করা হয়ে থাকে এবং অবৈধ কাঠ পেলে জব্দ করে থাকি। করেরহাট রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এজেএম হাসানূর রহমান জানান, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই এবিষয়ে কিছু জানাতে পারছেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন