তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা
সারা দেশে সকল কার্যক্রম ডিজিটালের আওতায় আসলেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি। দেশের উন্নয়নের মূলমন্ত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু স্থলবন্দরের কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যে জায়গায় ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা লেনদেন করছে এবং সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে কিন্তু স্থলবন্দরে কোন ডিজিটালের কার্যক্রম একেবারেই নেই। অবাক লাগার মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থলবন্দরে ঢুকলেই মনে হয় কোন নেটওয়ার্ক নেই। সমুদ্রসীমায় ঢুকলেও মোবাইল কিংবা অন্য কোন পদ্ধতিতে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব কিন্তু বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ঢুকলে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করার মত কোন মাধ্যম লক্ষ্য করা যায় না। ব্যবসায়িক লোকদের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হলে বন্দর হতে দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে মোবাইল-এর মাধ্যমে কথা বলতে হয়। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অপটিক্যল ফাইভার-এর লাইন ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছর আগে মাটির নিচ দিয়ে বাংলাবান্ধা-ভারত সীমান্ত জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত লাইন স্থাপন করা হলেও সংযোগ দেয়া হয়নি আজো। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অন-লাইনে ই-মেইলের মাধ্যমে ও টেলিফোন, ফ্যাক্স যোগাযোগ, মানি ট্রান্সফার যাবতীয় যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহারকারিরা। এ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহারে আরো আগ্রহী হবে এবং এ বন্দর থেকে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করা সম্ভর হবে। ব্যবসায়ীরা জানায়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ, বাংলালিংক, টেলিটক, সিটিসেল ও এয়ারটেল কোম্পানির মালিকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে এ বন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তাদের নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন করে ব্যবসায়ীদের এ ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারের প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে আন্তরিক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। তবে সরকারের এ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন