শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

শালিখায় খাল দখল করে আড়বাঁধ রেণুপোনা নিধনে ব্যস্ত প্রভাবশালীরা

প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে

মাগুরার শালিখা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি খাল দখল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আড়বাঁধ ও সুতার জাল পেতে রেণুপোনা জাতীয় মাছ নিধনের কাজে লিপ্ত হয়েছে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা। ক্ষমতার দাপটে এ অপরাধমূলক কাজ তারা প্রায় প্রতি বছরই করে থাকে। এবছরও প্রায় শতাধিক স্পটে সুতার জাল ও আড়বাঁধ দিয়েছে প্রভাবশালীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ও উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ফটকী ও চিত্রা নদী থেকে কয়েকটি বাঁধ ও সুতার জাল উচ্ছেদ করা হলেও আরো কয়েকটি আড়বাঁধ রয়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার কানুদার খাল, কাজল বিলের খাল, বারাঙ্গার খাল কালিদাস খালির খালসহ প্রায় অর্ধশত খালে প্রভাবশালিরা শতাধিক আড়বাঁধ ও সুতার জাল দিয়ে মাছ ধরলেও তা প্রশাসনের নজরে পড়েনি। এধরনের বাঁধ দেয়ায় অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন বিলের ফসলী জমির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে কৃষকরা পড়েছে ঘোর বিপাকে। এসব জমির পানি সহজে নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় এবছর আমন ও আউস ধানসহ বিভিন্ন জাতের ফসল ভাল ফলন উৎপাদনে প্রভাব পড়বে বলে কৃষকরা মনে করছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা প্রভাবশালীদের কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। হবে না বলে কৃষকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন খালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাল দখল করে আড়বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে। আবার কোন কোন প্রভাবশালীরা খালের ভিতর ভেড়ি কেটে খাল বন্ধ করে দিয়েছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে উপজেলার চতিয়া থেকে ফটকী নদী পর্যন্ত সরকারি খাল দখল করে কমপক্ষে ১০টি ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও নাঘোসার বুড়ার বিলের খাল ও কানুদার খালেও প্রায় ২০টি ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। এসব স্থানে প্রভাবশালীরা মাটি দিয়ে বান্দাল দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ ধরছে। ফলে ফসলী জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় শতশত বিঘা জমি অনাবাদী জমি পড়ে রয়েছে। আবার অনেক জমিই পানির নিচেই প্রায় তলিয়ে গেছে। এলাকার কৃষকরা কিছু বললে তাদের মামলা হামলাসহ যখমের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নেতা কর্মীদের ছত্র ছায়ায় থেকে আইনের তোয়াক্কা না করে এ ধরনের অপরাধ করে চলেছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিন উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলার ফটকী নদীতে অবৈধভাবে আড়বাঁধ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে। অন্যান্য বাঁধ পর্যায়ক্রমে জরিমানাসহ উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার জানান, বিষয়টি তারা অবগত। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন