ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের কিরকুক অঞ্চল থেকে পালাতে থাকা তিন হাজার গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে গেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পরে তাদের অন্তত ১২ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইরাকের অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর একটি বিবৃতির ভিত্তিতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়। অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর বিবৃতিতে বল হয়, আইএস-এর শতাধিক যোদ্ধা অসংখ্য বেসামরিক নাগরিককে বন্দি করেছে। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আইএস বন্দি বেসামরিক নাগরিকদেরকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। পরে ইউএনএইচসিআর তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ৪ অগাস্ট কিরকুক অঞ্চলের হাউইগা জেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে তিন হাজারের বেশি পলায়নপর গ্রামবাসীকে আইএস ধরে নিয়ে গেছে বলে খবর পেয়েছে ইউএনএইচসিআর। বন্দি অবস্থায় তাদের অন্তত ১২ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালের জুলাই নাগাদ ইরাকের প্রায় ৩৪ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সহায়তায় ইরাকি বাহিনী আইএস-এর নিয়ন্ত্রণ থেকে কয়েকটি শহর পুনরুদ্ধার করেছে। কিন্তু আইএস এখনো ইরাকে তাদের সবচেয়ে শক্তঘাঁটি মসুল দখল করে রেখেছে। মসুলে ত্রাণ সহায়তার জন্য গত মাসে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ২৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য কামনা করা হয়। এছাড়া, সংঘর্ষ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরো ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এ আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে মসুলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছয় হাজার লোকের উপযোগী একটি আশ্রয় শিবির নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আরো প্রায় ১৫ হাজার মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন