শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

করোনায় অনেক ক্ষতি শরীরের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের শরীরে স্থায়ী ভাবে কিছু সমস্যা লক্ষ্য করেছেন চিকিৎসকেরা। এই ক্ষতি যে শুধু আক্রান্ত হওয়ার সময়ই দেখা গেছে তা নয়। সুস্থ হওয়ার পরও অনেক সময়ই দেখা গেছে সেই ব্যক্তির ফুসফুসে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে কিডনি এবং হার্টেরও ক্ষতি করছে এই ভাইরাস।
কমবয়সিদের মধ্যেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে থাকার সমস্যা দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, অনেক সময়ই করোনা আক্রান্তের সুস্থ হয়ে ওঠার পরও এই সমস্যাগুলো থেকেই যাচ্ছে। করোনায় মৃত এক রোগীর দেহের ময়নাতদন্ত করে সেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কোভিড-১৯ ভাইরাস কী কী প্রভাব ফেলেছে তা গবেষণা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইম্পেরিয়াল কলেজের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দশটি করোনায় মৃত দেহের ময়নাতদন্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ফুসফুসে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে করোনা। ফলে স্থায়ী ভাবে ফুসফুসের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত হলে। পাশাপাশি কিডনি এবং থ্রম্বোসিসের সমস্যা দেখা গেছে বেশিরভাগ রোগীর দেহে। হার্ট, কিডনি এবং ফুসফুসেও রক্ত জমাট বেঁধেছে অনেকের।
এগুলো আবিষ্কারের ফলে বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসা করার পদ্ধতি এবং মৃতের হার কমিয়ে আনার একটা সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজেও লাভ হবে।

মস্তিষ্কেও কি প্রভাব ফেলে এই ভাইরাস? : এই ভাইরাসের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনও নিশ্চিত নন। এর আগে সার্সের বেলায় বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছিলেন যে সার্স ভাইরাস কিছু রোগীর মস্তিষ্কেও অনুপ্রবেশ করতে পারত। তবে সার্স ও কোভিড-১৯-এর চরিত্রগত বেশ মিল থাকায় জার্নাল অব মেডিক্যাল ভায়ারোলজির গবেষকরা প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে যুক্তি দিয়েছিলেন যে করোনাভাইরাস কিছু কিছু স্নায়ুকোষ সংক্রামিত করতে পারে। সুতরাং এর সংক্রমণ অঞ্চল নিয়ে এখনই নিশ্চিত হয়ে কিছু ধরে না নেওয়াই ভালো বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল, তার উপর নির্ভর করে এই অসুখ কার শরীরে কতটা থাবা বসাবে। বয়স্ক ব্যক্তি বা ডায়াবিটিস, নিউমোনিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্য কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সমস্যায় ভুগলে রোগের লক্ষণ গুরুতর ভাবে প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেভাবেই হোক প্রতিরোধ করুন করোনাভাইরাস। যতটা সতর্ক থাকা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা যায় তা করুন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন