নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, ৭০ লাখ মানুষের এই নগরীতে দুর্ভোগের শেষ নেই। চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা, ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত, আলোকায়ন ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে কাজ করছেন তিনি। কর্পোরেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি বন্ধ এবং ব্যয় সংকোচন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করাও তার লক্ষ্য জানিয়ে সুজন বলেন, সময় বেশি নেই, প্রতিটি মিনিট কাজে লাগাতে চাই। গতকাল শুক্রবার দৈনিক ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতা গত ৬ আগস্ট সিটি প্রশাসকের চেয়ারে বসেন। কর্মকর্তাদের সাথে প্রথম সভাতেই দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি। দুর্নীতিবাজদের তওবা করে নিতে বলেন। সভা শেষে বের হয়ে যান রাস্তায়। চট্টলবীর মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী খোরশেদ আলম সুজন প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন। গত ২২দিনে তার নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপে খুশি নগরবাসী। কর্পোরেশনের জ্বালানী খাত এবং নগরীতে সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে রেব করতে কমিটি করেছেন তিনি। জনদুর্ভোগ, উন্নয়নকাজে গাফেলতির বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, পোর্ট কানেকটিং রোড, মাঝিরঘাট সড়ক সম্প্রসারণসহ চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। আমার প্রধান কাজ ভাঙ্গা রাস্তা ঠিক করা, রাস্তায় বাতি জ্বালানো, নগরীকে পরিচ্ছন্ন করা। সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মানুষকে কিভাবে স্বস্থি দেওয়া যায় সে চেষ্টা করছি। ঠিকাদারদের কাজের মান ঠিক রেখে যথাসময়ে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। প্রকৌশলীরা মাঠে আছেন, কাজ তদারক করছেন।
চট্টগ্রামের রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা হিসাবে পরিচিত সুজন দলের নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রশাসকের দায়িত্বে নেওয়ার পরই দায়িত্বপালনে সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করেন। কর্পোরেশনের আর্থিক সঙ্কটসহ নানা বিষয়ে ২০দিনের মাথায় দুই বার বৈঠক করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সাথে।
কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করে কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী করাকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের কোন ছাড় নেই। কর্পোরেশন চরম আর্থিক সঙ্কটে জানিয়ে তিনি বলেন, দায়-দেনার পরিমাণ প্রায় হাজার কোটি টাকা। আয়ের প্রধান উৎস নাগরিকদের কর। তাদের সেবা না দিলে তারা কর কেন দেবেন। আগে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আয়বর্ধক প্রকল্প নিতে হবে।
তিনি বলেন, কম সময়ের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নাগরীক সেবা দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছি। যেখানে যাচ্ছি মানুষের সাড়া পাচ্ছি। আমি এই মাটির সন্তান। এই নগরীর মানুষ আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছে তাতে কাজের প্রেরণা আরো বাড়ছে। রাজনীতির মাঠে বড় হয়েছি। অনেক কিছু মোকাবেলা করেছি। মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দেওয়ার যে সুযোগ জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন আমি তার পুরোটাই কাজে লাগাতে চাই। চাটগাঁবাসী আমার পাশে আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন