বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষার জন্য বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সমীক্ষা চলছে। সমীক্ষা শেষ হলে বাঁধের উচ্চতা ১৮ ফুট করা হবে। গতকাল শুক্রবার ভোলা সদরের ইলিশাসহ দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলায় চলমান বাঁধনির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ফনী, আম্পানসহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাঁধের ওপর দিয়ে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষার জন্য বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যা খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে। ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধের উচ্চতা ১২ ফুট। কিন্তু এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উচ্চতা বেড়েছে তাই সমীক্ষার আলোকে আগামীতে ১৮ ফুট উচু করে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। গতকাল সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন স্পটে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এসময় ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, বাপাউবো ডিভিশন-১ নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান, ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন