রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে সার

প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে ভারতে সার পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। সম্প্রতি উপজেলার শিয়ালমারা সীমান্ত থেকে পাচারের সময় সার আটক করে বিজিবি। সীমান্ত সূত্রগুলোও নিশ্চিত করেছে সার পাচারের বিষয়টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাসান মোরশেদ জানান, শিয়ালামারা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারে সময় ২৪৫ কেজি সার আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহলদল সীমান্ত পিলার ১৮৭ থেকে মাত্র ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েকজন চোরাচালানিকে দেখে ধাওয়া করে। এসময় চোরাচালানিরা পাঁচটি বস্তায় থাকা সার ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সেগুলো জব্দ করে নিয়ে আসে বিজিবি। জব্দ করা সারের মধ্যে রয়েছে ১০০ কেজি টিএসপি, ৯৬ কেজি পটাশ ও ৫০ কেজি ইউরিয়া। সীমান্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিবগঞ্জের বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতই সার পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। ভারতে টিএসপি ও পটাশ সারের দাম বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। আর এ কারণেই সার পাচার হয়ে যাচ্ছে। ভারতের সীমান্ত এলাকার চাষিরা অনেক সময় তাদের বাজার দূরে হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানিদের মাধ্যমে সার কেনেন। বাংলাদেশি সারের গুণগতমানও ভালো। এটিও সার পাচারের আরেকটি কারণ। সোনামসজিদ সীমান্ত সংলগ্ন চাকপাড়ার এক সার ব্যবসায়ী জানান, কাঁটাতারের বেড়াঘেঁষা ভারতীয় জমিগুলোর বেশিরভাগই বাংলাদেশি সার দিয়ে চাষাবাদ করা হয়। ভারতীয় কৃষকরা তাদের দেশের বাজার থেকে সার আনতে যে পরিমাণ যাতায়াত খরচ দিতে সেটা বাঁচাতে এপারের চোরাচালানিদের মাধ্যমে সার কিনে থাকেন। এদেশের ব্যবসায়ীরাও স্বল্প লাভেই মূল্যবান সার তুলে দিচ্ছেন ভারতীয় কৃষকদের হাতে। ওই ব্যবসায়ী দাবি করেন, বাংলাদেশি সারের গুণগতমান ভারতের তুলনায় অনেক ভালো। ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাসান মোরশেদ জানান, পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া সার আটক করা হলেও কোনো চোরাচালানিকে আটক করা যায়নি। তবে কাউকে আটক করতে পারলে সার পাচারের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সাজদার রহমান জানান, ভারতে সারের দাম বাংলাদেশের তুলনায় বেশি কি-না তা জানা নেই। এমনকি সার পাচারের বিষয়টিও তিনি জানেন না। এবিষয়ে খোঁজ নেবেন এবং সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা সার মনিটর্রিং কমিটিকে জানাবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন