শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভাঙনে বিলীন ইসলামপুরের বিস্তীর্ণ জনপদ

ফিরোজ খান লোহানী, ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

‘নদীর এপার ভাঙে ওপার গড়ে, এইতো নদীর খেলা...’। নদীর ভাঙা গড়া আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দেখে এক দরদি শিল্পী এ গানটি গেয়েছিলেন। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, আলাই বিল ভাঙনের খবর হয়তো তখন তাদের কাছে ছিল না। এখানকার যমুনা ব্রহ্মপুত্র, আলাই বিল ভাঙনে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ন জনপদ ও ফসলের জমি। এবারের বন্যার পানি কমার সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙনসহ সদর ইউনিয়নের উত্তর পচাবহলা সরকারপাড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা নদীর আলাই খালের ভাঙনে যাতায়াতের সড়কসহ ১৫টি বসতভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বসত ভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করেছে নদী ভাঙনের স্বীকার ওই পরিবারগুলো। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলা সদর ইউনিয়নে পচাববহলা সরকার পাড়ার বসবাসকারী মানুষগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মসজিদ মাদরাসাসহ ভাঙন আতংকে হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছে এপার-ওপারের হাজারো মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি কমে যাওয়ায় যমুনা নদীর শাখা আলাই নদীর ভাঙনে পচাবহলা সরকারপাড়া গ্রামের সড়ক ও কবরস্থানসহ প্রায় ১৫টি বসতভিটা নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী ভাঙনের স্বীকার সামসুল সরকার, বারেক সরকার, ফজল সরকার, দিপু সরকার, রিয়াজুল সরকার, আসাদুল্লাহ, শহিদুল্লাহসহ অন্যান্যরা জানান, যমুনার শাখা নদী আলাই খাল প্রায় ১০ বছর থেকে একটু একটু করে ভাঙছে। এবার যাতায়াতের সড়কসহ ৭টি বসতভিটাসহ এ যাবৎ ১৫টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই এলাকার এক টুকরা জমিও থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা। ঝুঁঁকিতে রয়েছেন দুই এলাকার শত শত পরিবার। তাদের দাবি এবারের ভয়াবহ ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হবে। এমপি মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে দ্রুত সময়ের মধ্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন