গলাচিপায় ১৫দিনেও জহিরুল খলিফা (৩৪) মৃত্যুর রহস্য উদঘটিত হয়নি। এতে পরিবারসহ এলকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা খুব দ্রুত মৃত্যুর সঠিক রহস্য বের করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি তুলেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মাছ, হাস, মুরগীর খাবার বিক্রেতা জহিরুল গত ২৯ আগস্ট রাতে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে তার বড় ভাই মো. মনিরুজ্জামান (৩৭)-এর চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু ঐ রাতে তিনি আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন সকালে তার লাশ কালিকাপুর নুরিয়া মাদরাসা মসজিদের পুকুরে ভাসতে দেখে মো. জাসরুল খলিফা (৪৫) ও বায়েজিদ প্যাদা (১৮) পরিবারকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী প্রেরণ করে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় মামলা ও পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় পুকুরের ঘাটে তার জুতা, ওষুধ, জাম্বুরা ফল, মোবাইল ও টর্চলাইট এবং ভাঙা ইটের দুটো খন্ড পাওয়া যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মৃত জহিরুল খলিফার চাচা মো. নুরুল আমিন খলিফার (৫৪) সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে তার বড় ভাই মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে পটুয়াখালীতে মামলা করেন। ওই মামলার বিবাদী মো. নুরুল আমিন খলিফা পাশের রাঙ্গাবালী থানায় জহিরুল, মো. মনিরুজ্জামান ও ভগ্নিপতি মো. লিটন মাস্টারের নামে ৩০ লাখ টাকার একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, কিছুদিন আগে জহিরুল খলিফা ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করার জেরে তার চাচা এলাকার ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন খলিফা (৩৬) ও চাচাতো চাচা মো. তাজুল খলিফা (৩৫) এর সাথে ঝগড়া হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, মৃত জহিরুল খলিফার কোনো রোগ ছিল না, সে সহজ-সরল ছিল। জমিজমা নিয়ে মামলা ও নির্বাচন করবে এ কারণে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে বলেও দাবি করেন। একই দাবি করেছেন মৃতের মা, স্ত্রী ও বড় ভাই। তারা খুব দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে মৃত জহিরুল খলিফার লাশ পটুয়াখালী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, তার করোনাভাইরাস ছিল না। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন