শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত বাগাতিপাড়ার ইউএনও পার্ক

প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে থাকে ইউএনও পার্ক। মাত্র ক’দিন আগেও যে জায়গাটি মাদক সেবনের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ছিল সেই জায়গাটিই এখন বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকছে। প্রায় প্রতিদিন বিকালেই এখানে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। বিনোদনের আশায় বড়াল নদের তীরের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই জড়ো হচ্ছেন হাজারো সাধারণ মানুষ। নাটোর সদর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের পেছনে মালঞ্চি রেলব্রিজ এলাকাটিকেই এখন বিনোদন পার্ক করা হয়েছে। মাত্র ক’দিন আগে রেলব্রিজের পাশেই বড়াল নদীর ওপর একশ’ মিটার আর একটি ব্রিজের নির্মাণের কাজও শেষ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুটি ব্রিজ আর বর্ষা মৌসুমের বড়াল নদীর ঢেউ বাড়িয়ে দিয়েছে এই পার্কের সৌন্দর্য। সাধারণ মানুষের আগমনের কারণে স্থানীয়দের দাবি ওঠে স্থানটিতে পার্ক নির্মাণের। সেই দাবির প্রতি সমর্থন রেখে বাগাতিপাড়ার ইউএনও খোন্দকার ফরহাদ আহমদ সেখানে গড়ে তোলেন এই পার্ক। মুখে মুখেই ছড়িয়ে পড়ায় এর নামকরণও করা হয় ইউএনও পার্ক। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদও পরিদর্শন করে গেছেন। বড়াল পাড়ের এই পার্কে ভ্রমণে আসা অনিক ও রাব্বি জানান, নতুন এ পার্কটি একদিকে মাদকের আড্ডা দূর করে বিনোদন কেন্দ্র হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। তাছাড়াও বাগাতিপাড়ায় রয়েছে বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থান। অভিশপ্ত ইংরেজদের নীলকুঠি, শরৎচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি ও বড় বাঘা মাজার তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য। একদিকে দর্শনীয় স্থান, অন্যদিকে ব্রিজ আর বড়াল নদের সৌন্দর্য উপভোগের এক সম্ভাবনাময় স্থান হয়ে উঠতে পারে ইউএনও পার্ক। পার্কটিই এক সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হতে পারে পিকনিক স্পটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, সরকারের ইনোভেশন কর্মসূচি ও জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পার্কটির বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বেশকিছু সোলার প্যানেল। মোট ১৫টি স্থানে ব্যবস্থা করা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। লাগানো হয়েছে কয়েক হাজার সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। নদীতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য দুটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও প্রবেশমুখে নান্দনিক ব্রিজ, রেলপথ ও সড়কপথের মাঝে গাছের ছায়ার মধ্যদিয়ে ফুটপাতসহ গাড়ি পার্কিং এবং পিকনিক স্পটের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকাটি নতুন একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন