শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুদের কিস্তি দিতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৫২ পিএম

সুদের কারণে গ্রাম-বাংলার অনেক পরিবারে অশান্তির আগুন জ্বলছে। লোভে কিংবা ভালো থাকার আশায় অনেকে সুদে ঋণ নিয়ে থাকে এনজিও কিংবা ব্যক্তির কাছ থেকে। আর এই সুদে ভাঙছে সংসার, অনেকে বাড়ি ছাড়া এবং দিশেহারা করছেন আত্মহত্যা।
এদিকে পাবনার ফরিদপুরে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ঐ গৃহবধূ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাঙরাগাড়ী গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৫)। তার তিন বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল এগারোটার দিকে‘সিদিপ’ নামের একটি এনজিও কর্মীদের উপস্থিতিতে সে গলায় ফাঁস নেয়। এই এনজিও থেকে সে সত্তর হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। নিহতের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত সাবিনার স্বামী হাফিজুল পেশায় দিনমজুর। পারিবারিক প্রয়োজনে গত বছর আগস্ট মাসের সাত তারিখে ‘সিদিপ’ (সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস) নামের একটি এনজিও থেকে সত্তর হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন সাবিনা। আগে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও করোনা মহামারির কারণে নিয়মিত কাজ না থাকায় হাফিজুল বাকি থাকা ২৫ হাজার ৪২০ টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।

এর পরে সরকারি ভাবে ঋণের কিস্তি সংগ্রহে বিধিনিষেধ আসায় সাবিনা আর কোনো কিস্তি দেন নাই। মঙ্গলবার সিদিপের ব্যবস্থাপক মাহমুদুল ইসলাম ও হাঙড়াগাড়ী কেন্দ্রের মাঠকর্মী আরিফুল ইসলাম কিস্তি সংগ্রহের জন্য সাবিনার বাড়িতে যান। সে সময় সাবিনার স্বামী হাফিজুল কিস্তির টাকা সংগ্রহের জন্য বাড়িতে থাকা গম ও মুরগি বিক্রির জন্য হাটে ছিলেন। কিস্তি দিতে দেরি হবে জানার পরে উপস্থিত এনজিও কর্মীর সঙ্গে সাবিনার একটু কথাকাটাকাটি হয়। এর কিছু সময় পরে সবার অলক্ষ্যে সাবিনা নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস নেন। এ সময় তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান তার ঘরেই ছিল।
কিছু সময় পরে ঘর থেকে শিশুটি কান্না করতে থাকলে বাড়ির লোকজন সাবিনাকে ডেকে সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজন কৌশলে দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Syed Rahman ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:০২ পিএম says : 0
What a painful end of valuable life. Who will took the responsibility?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন