হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়েছে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, বিকেল সোয়া ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মাঠ থেকে তাকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বলেন্স ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়।
তিনি চমেক হাসপাতালের ৩য় তলার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ৮ নম্বর বেডে তার চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক (মুহতামিম) পদ থেকে পদত্যাগ করার পর অসুস্থতাবোধ করায় তাকে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানান, তিনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা সদস্যদের বৈঠকে আল্লামা শফি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে বৈঠকে তাকে হাটহাজারী মাদ্রাসার উপদেষ্টা হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসার মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী।
এর আগে বুধবার দিনভর হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে ‘সম্মানজনকভাবে’ অব্যাহতি দিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ, আল্লামা শফির ছেলে আনাস মাদানিকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন মাদ্রাসার একদল শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুধবার রাতেই আনাস মাদানিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মজলিশা শুরার এক বৈঠকে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ওপর ‘নির্যাতন’ বন্ধ করার অঙ্গীকারসহ কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ, ভাংচুর করেন একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন