শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের মিলকারখানাগুলি বন্ধ থাকায় ফতুল্লার অনেক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু গত সপ্তাহের অন্য সকল দিনগুলিতে গ্যাস সংকট ছিলো তীব্র। একেবারেই গ্যাস ছিলোনা। ফলে চরম দুর্ভোগে পরে মানুষ। রান্নার কাজে চরম বিপত্তি ঘটে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
এদিকে শুধু ফতুল্লা নয়, বরং নারায়ণগঞ্জ শহর এবং বন্দরেও চরম গ্যাস সংকট চলছে বলে জানিয়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। তারা অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দিয়ে তাদের এলাকায় নতুন করে এই গ্যাস সংকটের কথা জানিয়েছেন। তারা সংকট সমাধানে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ফতুল্লা সর্বত্র নতুন করে গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে। তল্লা জামে মসজিদে ভয়াবহ গ্যাস দূর্ঘটনার পর থেকে নতুন করে এই সংকট শুরু হয় বলে জানিয়েছে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। অবস্থা এখন এমন দাড়িয়েছে দুপুরে খাবার রান্না করার গ্যাস থাকছে না। এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকার গৃহবধু নূসরাত জাহান জাহান বলেন, তল্লা মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরনের পর থেকেই তাদের এলাকায় কোনো গ্যাস থাকে না। চাপ এতোটাই কম থাকে যে এখন আর খাবার রান্না করা যাচ্ছে না। তিনি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
অপরদিকে ফতুল্লা বাজার এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি গ্যাস সংকট এতোটাই প্রকট আকার ধারন করেছে যে বাসায় রান্নাবান্না বন্ধ। আর করোনা ভাইরাসের কারনে বাহির থেকে কিনে খেতেও সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন আমরা জানতে পেরেছি সারা ফতুল্লা জুরেই বিভিন্ন এলাকায় বছরের পর বছর ধরে গ্যাস লাইনে লিকেজ তৈরী হয়েছে। কিন্তু গ্যাস অফিসের দূর্নীতিবাজরা এসব মেরামত করেনি। এখন তল্লা জামে মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরনে বহু মানুষ পুড়ে মরার পর এখন তাদের টনক নড়েছে। তাই এখন নতুন করে যাতে দূর্ঘটনা না ঘটে তাই গ্যাস সরবরাহই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবস্থাটা এমন যে মাথা ব্যাথা সাড়াতে মাথাই কেটে ফেলা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন