জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যু তুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। এরদোগান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটি এখনও একটি জ্বলন্ত সমস্যা। জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মিরের মানুষের প্রত্যাশা মেনে এই সমস্যার সমাধান করা দরকার। -ডিডব্লিউ, লাইভমিন্ট, ইন্ডিয়া টিভি
পাকিস্তানের বন্ধু দেশ তুরস্ক গত এক বছর ধরে নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মির প্রসঙ্গ তুলছে বা তোলার চেষ্টা করছে। সপ্তাহখানেক আগেই তুরস্ক, পাকিস্তান এবং ওআইসি-র নিন্দা করেছিল ভারত। কারণ, তারা মানবাধিকার কাউন্সিলে কাশ্মির প্রসঙ্গ তুলেছিল।এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মির ইস্যুতে এরদোগানের সরব হওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। ২০২০ সালের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, কাশ্মির ইস্যুতে ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক প্রত্যাশা করে ইসলামাবাদ। তবে সেটি না হলে পাকিস্তান এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারে। সউদি প্রভাবিত ওআইসি-কে পাশে না পেলে নিপীড়িত কাশ্মিরিদের সমর্থনে যারা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত; তাদের নিয়ে একটি বৈঠক আহ্বানের কথাও বলেন শাহ মাহমুদ কোরেশি।
এদিকে এরদোগানের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মির নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য আমাদের চোখে পড়েছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন