ক্যানডিডা ইষ্ট এর কারণে ওরাল থ্রাশের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, এন্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা রোগে কর্টিকোষ্টেরয়েড স্প্রে নেওয়ার কারণে ক্যানডিডা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। জিহŸার উপরে যে প্যাঁচের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেগুলো ঘষে উঠাতে যাবেন না। কারণ এতে করে ঐ স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। একজন ডাক্তার দেখিয়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ঘাঁ এর স্থান যদি শুধুমাত্র স্পর্শ করার কারণে রক্তপাত হয় তাহলে এ ধরণের আলসার ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত। কারণ এটি ম্যালিগন্যান্ট আলসার এর একটি সরচরাচর বৈশিষ্ট। এ বিষয়ে সবার সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং দ্রæত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আলসারের মধ্যে দৃশ্যমান স্থানকেই আলসার ফ্লোর বলা হয়। বেস বলতে বুঝায় যার উপরে আলসার বা ক্ষতস্থান অবস্থান করছে। যদি আলসারের বেশ শক্ত গোটার মত হয়ে থাকে বা শক্ত অনুভূত হয় তবে সেক্ষেত্রে দেরী না করে দ্রæত কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
ওরাল থ্রাশ এবং আলসার এর চিকিৎসায় আমাদের দেশে প্রায়ই মুখস্ত ওষুধ প্রদান করা হয়। প্রায়ই আলসারের চিকিৎসায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক প্রদান করা হয়। বার বার এন্টিবায়োটিক প্রদানের ফলে একটা সময় আসে যখন এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায় অর্থাৎ এন্টিবায়োটিক আর নির্দ্দিষ্ট ঐ জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে কোনো রোগই সহজ থেকে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। জটিল অবস্থায় চিকিৎসা বিলম্ব হলে অথবা ভুল চিকিৎসা হলে আসল ক্ষতি হয় রোগীর এবং তার আত্মীয় স্বজনের। অতএব, যে কোনো রোগের চিকিৎসা প্রদানের আগে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করা উচিত।
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন