কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত বমু ফরেস্টবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে শতবর্ষী মাদারট্রি গর্জন ও সেগুন কাঠ উজাড় ও পাচার হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় পরিবেশ সচেতন জনগণের অভিযোগ, রাতের আধারে কাটা হচ্ছে এ বনাঞ্চলের সেগুন ও গর্জনসহ মূল্যবান গাছ। স্বপন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এসব গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ডলুছড়ি রেঞ্জ অফিস এবং ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি এসব কাঠপাচারের ঘটনা দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা গেছে, ফাইতং বনাঞ্চল থেকে ভারি যানবাহন ব্যবহার করে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় সদ্য নির্মিত রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত গাছ বোঝাই করে নেয়ার ফলে রাস্তাটিতে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু গর্তের। সম্প্রতি একটি বড় ট্রাক আটকে যায় ওই সড়কের গর্তে। গাছ চুরির বিষয়ে ডলুছড়ি রেঞ্জ অফিস এবং ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত তিন মাস ধরে বন কর্মকর্তা ও ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির উদাসীনতায় পাচার করা হচ্ছে গর্জন ও সেগুন গাছ। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে সরকারি এ রিজার্ভ ফরেস্টের মূল্যবান গাছ কাটা হচ্ছে। এতে দিন দিন সরকারি রিজার্ভ ফরেস্ট বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
বন বিভাগের কর্মকর্তা এসএম কায়সার বলেন, যে গাছগুলো কাটার অভিযোগ উঠেছে সেগুলো বন বিভাগের নয়। তারপরও বমু রেঞ্জের বিট অফিসারকে বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।
তিনি আমাকে জানিয়েছেন গাছগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন। এসব গাছের মালিকের নাম স্বপন। তিনি আরও বলেন, বন উজাড় বন্ধে গত কয়েক সপ্তাহ আগেও তিনটি অভিযান চালিয়েছি। এসময় ট্রাক বোঝাই গাছ জব্দ করেছি। আমাদের অভিযান চলমান আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইললে ফাইতাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টা জানা ছিল না। কোন অভিযোগও পাইনি। তবে বন বিভাগ যদি আমাদের সহায়তা চায় সর্বোচ্চ সহায়তা করবো। তাছাড়া এ ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড রোধে সবসময় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন