কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেলিভিশনের প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মিথ্যাচার, মানহানিকর এবং আপত্তিকর সাক্ষাতকার দেয়ার অভিযোগ তুলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেপিএম এমডিকে ক্ষমা চেয়ে উক্ত বক্তব্য প্রতাহার করার আল্টিমেটাম দিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা আ.লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটির এমডির বিরুদ্ধে মানহানির মামলাসহ কেপিএমের এমডি কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি দেন নেতারা। গত রোববার বিকাল ৪ টায় চন্দ্রঘোনা ইউপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় এ আল্টিমেটাম দেয় নেতাকর্মীরা।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে রাখেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী। উপজেলা আ.লীগ নেতা আক্তার হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, রাইখালী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির আহম্মেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এম এ কাদের গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে প্রচারিত সংবাদে কেপিএমের নানা সমস্যা নিয়ে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে আক্রমণাত্বকভাবে কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হকসহ চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবিকে মাদকাগ্রস্থ আখ্যায়িত করে তাদের বাড়িতে মাদকের আড্ডা বসানো হয় বলে মন্তব্য করেন। কেপিএমের এমডি ডা. এম এম এ কাদের এশিয়ার বৃহত্তর কর্ণফুলী কাগজ কলকে ধ্বংস করতে বেসরকারি মিলসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে দাবি করেন নেতারা। সিবিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সভাপতি মৌলভী মো. ইউনুস বলেন, তিনি (কেপিএম এমডি) বিএনপি-জাময়াতের সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী পেপার মিলসের এমডি ডা. এম এম এ কাদের বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবির নাম ধরে মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলিনি। আমি বলেছি কেপিএমের অনেক বাসায় সন্ধ্যার পর মাদকের আড্ডা বসে। আ.লীগের আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে রাজি হননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন