শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষ চলছে

পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীই বলেছে, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আর্মেনিয়া দাবি করেছে তারা আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর ওপর পাল্টা আঘাত হেনেছে এবং অজারি বাহিনীর ক্ষতি হয়েছে। তবে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী এ ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি, তারা জানিয়েছে, প্রতিপক্ষের হামলায় তাদের কয়েকজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে মঙ্গলবার পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোববার সকাল থেকে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া উভয়ই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিবেশী দেশ। এদিকে, আজারবাইজান পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক ফোনালাপে এ বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রায়েন। এ সময় আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি এবং ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তারা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার দেশ আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ইব্রাহিম কালিন বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের ভূখন্ড ছাড়তে হবে। এদিকে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত নিরসনে তুরস্কের সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সব কিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও পক্ষকে যে কোনও ধরনের সমর্থন ও সামরিক কর্মকান্ড জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালবে। উল্লেখ্য, আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তিন দেশের সঙ্গেই নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই ওই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। আনাদোলু, পার্সটুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Uzzal Kanti Datta ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৫ এএম says : 0
আর্মেনিয়া পশ্চিমাদের উস্কানিতে আজারবাইজান এর সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছে। যে দেশে মাত্র ৩০ লক্ষ জনগন ঐ দেশ কীভাবে আজারবাইজান এর সাথে যুদ্ধ করতে যায় কে জানে এবং যার সাথে আছে স্বয়ং তুরস্কের মতো পরাশক্তি। ভালোই হলো যুদ্ধ হয়েছে।আজারবাইজান তাঁদের প্রাক্তন জমি পুর্নদখল করেছে। আর্মেনিয়ার উচিত আজারবাইজানের ভূমি ছেড়ে দেওয়া এবং ঐ এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা বন্ধ করে আজারবাইজান এর সাথে শান্তিপূর্ন ভাবে অবস্থান বজায় রাখা, কারণ যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি আজারবাইজানের পক্ষে। যুদ্ধ মানব জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।
Total Reply(0)
Sajib Hossain Joy ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৬ এএম says : 0
এ যুদ্ধের দায় বিশ্বের দুটি পরাশক্তিধর দেশ তুরস্ক ও ইউএসএ। যুদ্ধে কখনোই ভালো কিছু আসেনা, দুদেশেরই নিরীহ মানুষ মারা যাবে। এটা খুবই দুঃখজনক
Total Reply(0)
Bilas Roy ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৬ এএম says : 0
সবে তো শুরু এখনেই জয় পরাজয় ঠিক করা খুব আগাম হয়ে যাবে !! এই যুদ্ধ এখনেই শেষ হওয়া নয়। অনেকে সুযোগের সদ্ ব্যবহার করতে চাইবে এর। ইরান কার পক্ষে থাকবে এটাও দেখা যাবে এই যুদ্ধে এবং ইরান সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে,সাথে সাথে তুরস্কেরও সক্ষমতার।
Total Reply(0)
Bipul Bauli ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৭ এএম says : 0
এই যুদ্ধ শেষ মেষ ধর্ম যুদ্ধে পরিণত হবে। কারন ইতি মধ্যেই রাশিয়ার ফ্রান্সের মত পরাশক্তি ধর দেশ আর্মেনিয়ার পক্ষ নিয়েছে। এবং আজারবাইজানের পক্ষ আছে তুর্কি।
Total Reply(0)
Md Kamruzzaman Chopol ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৮ এএম says : 0
আজারবাইজান একদম সঠিক কাজ করছে। আরমেনিয়া এত সাহস পায় কোথায়? পরের জমিতে মাতবরি খাটায়। নিজের মাটি দখলমুক্ত করে তারপর ক্ষান্ত হবে আজারবাইজান। আশাকরি তুরস্ক, ইরান পাশে থাকবে। আর ওসব আলোচনা টালোচনা দিয়ে কিছুই হবে না শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়বে। নিজ অধিকার নিজে আদায় করে নিতে হবে,কেউ আদায় করে দেবে না। আমরা আরেকটি ফিলিস্তিন চাই না।
Total Reply(0)
Bablur Rahman ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৮ এএম says : 0
আজারবাইজানের অঞ্চল গুলো অন্যায় ভাবে দখল করে রেখেছে আরমেনিয়া,
Total Reply(0)
শ্যামল মাজী ১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৯ এএম says : 0
আজারবাইন, তুর্কীর সহায়তায় অনেক শক্তিশালী। অার্মোনিয়া যদি ইজরায়েলের মত দেশাত্মবোধক হয়, তাহলে যুদ্ধ বেশি দিন চলবে।
Total Reply(0)
শেখ রেজাউল হক ১ অক্টোবর, ২০২০, ২:১৯ পিএম says : 0
মেরে আর্মেনিয়ান মুখ ভেঙ্গে দাও। এটাই আজেরবাইজানের সুবর্ন সুযো। ১০০ বছর আগে তুরস্কের অটোমান সুলতান ১০লাখ আর্মেনিয় কে কবরে পাঠিয়েছে। আবার সেই সুযোগ এসেছে। অর্থোডক্স কাফেরদের শেষ করে দিক।????????????
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন