শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চরভদ্রাসনে বন্যায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ বছর বন্যায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা সংশ্লিষ্টদের কাছে তথ্য প্রতিবেদন দিয়েছেন। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নই বন্যাকবলিত হয়ে রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন ও চরহরিরামপুর ইউনিয়নের শতভাগ অবকাঠামো বন্যাকবলিত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে। আর উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম ও চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের অবকাঠামো ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। এসব ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর মধ্যে উপজেলা পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে চরহরিরামপুর ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামের কাঁচা রাস্তা বিধ্বস্ত হয়েছে। উক্ত ইউনিয়নের প্রায় ২০ কি.মি. কাঁচা রাস্তা জন চলাচল অযোগ্য হয়ে রয়েছে। উক্ত ইউনিয়নের ইকরাম মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রাম, হাজার বিঘা গ্রাম, আঃ হাই খানের হাট এলাকা, চরশালেপুর গ্রাম, চরশালেপুর পশ্চিম, চরশালেপুর মধ্য, চরশালেপুর পূর্ব, আঃ মজিদখার ডাঙ্গী, বিশাই মাতুব্বরের ডাঙ্গী, ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী, ছমির বেপারীর ডাঙ্গী ও আরজখার ডাঙ্গী গ্রামের মাটির রাস্তাগুলো প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। সবগুলো রাস্তা বন্যাকবলিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র তথ্য প্রতিবেদন দিয়েছেন। এছাড়া উক্ত ইউনিয়নের মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজাগুলো বন্যা বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত আরেকটি চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের সবগুলো অবকাঠামো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উক্ত ইউনিয়নে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হুকুম আলী চৌকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ১০ কিমি কাঁচা রাস্তা, ৪ কিমি এইচবিবিকরণ রাস্তা, ১০টি কালভার্ট ও ৫টি মসজিদসহ বন্যায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নও পদ্মা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান। তাই পদ্মার পাড় এলাকা ঘেঁষে প্রায় ১৫টি গ্রামের অবকাঠামো বন্যায় তছনছ করে রেখে গেছে। এসব গ্রামগুলোর মধ্যে জয়দেব সরকরের ডাঙ্গী গ্রাম, মধুফকিরের ডাঙ্গী, তেইলী বাড়ীঘাট, ঢালারপাড়, দ্বারিক সরকারের ডাঙ্গী, বেপারী ডাঙ্গী, খালাসী ডাঙ্গী, ওকেল মাতুব্বরের ডাঙ্গী, বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ডাঙ্গী, বিন্দু ডাঙ্গী, রহমান প্রামাণিকের ডাঙ্গী, চরসর্বান্দিয়া, মাঝিডাঙ্গী, রমেশ বালার ডাঙ্গী, চরহোসেনপুর ও নতুন ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় ১৫ কিমি কাঁচা রাস্তা, ৬ কিমি এইচবিবিকরণ রাস্তা, ৩টি ব্রীজ, ৬টি কালভার্ট, একটি বেড়িবাঁধ সড়ক, ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা ও কবরস্থানসহ প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি অফিস সূত্র প্রতিবেদন দিয়েছেন। আর উপজেলা সদর ইউনিয়নের একাংশর গ্রামগুলোর মধ্যে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রাম, ফাজেলখার ডাঙ্গী, হাজীডাঙ্গী, এমপি ডাঙ্গী, টিলালচর, খালাসী ডাঙ্গী ও মাথাভাঙ্গা গ্রামের কাঁচা, পাকা ও ইটের রাস্তাসহ ব্রীজ ও কালভার্টে ক্ষতির পরিমাণ রয়েছে আরো প্রায় এক কোটি টাকা। সব মিলে এ বছর বন্যায় উপজেলার ৪ ইউনিয়নে মোট সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন