শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কয়রায় অবিরাম বর্ষণে রোপা আমন ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মৎস্য ঘের ও শত শত বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত
কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা

কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে নি¤œ এলাকা প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে মাছের ঘের, আমন ফসলের বীজতলা ও রোপণকৃত ধান ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শত শত ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক স্থানে পাউবো বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে, তবে দু’টি পয়েন্টে বাঁধের অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল বেশ আগে থেকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে একাটানা প্রবল ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ায় উপজেলার সকল ইউনিয়নের মৎস্য ঘের ও আমন ধানের বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। গত বুধবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। ফলে সকল ইউনিয়নে বিশেষ করে আমাদী, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের শত শত কাচা ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এসব স্থানের বাসিন্দারা চরম বিপাকে রয়েছে। ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ চাষীরা তাদের আমন ধান চাষের জন্য তৈরিকৃত বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দ্রব্যমূল্যের বাজারে হাজার হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরিকৃত বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রমে তারা ধান চাষ নিয়ে সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেক চাষী ইতিমধ্যে ধান রোয়ার কাজও করেছেন। যা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পচে নষ্ট হতে পারে ভেবে হতাশ হয়ে পড়েছেন। উপজেলার সকল ইউনিয়নে হাজার হাজার একর মৎস্য ঘের প্রবল বৃষ্টিপাতে একাকার হয়ে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিলে জাল নিয়ে সাধারন মানুষকে মাছ ধরার লড়াইয়ে নামতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ঘেরের মধ্যে সাবু দানা জালিয়ে, চিড়া, চিনি ঢেলে মাছ ধরে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছেন। এদিকে মঠবাড়ীড় পবনা ও উত্তর বেদকাশির গাজি পাড়ার বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় এলাকার মানষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। টানা বর্ষণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম মিজান মাহমুদ বলেন বীজতলা ও রোপা আমন পানিতে তলিয়ে থাকায় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান আখম তমিজ উদ্দিন বলেন, অবিরাম বর্ষণে আমন চাষের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে এছাড়া মৎস্য ঘেরের মাছের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন