সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

দেড় যুগেও হয়নি সংযোগ সড়ক নির্মাণ

ভোগান্তিতে মুন্সীগঞ্জবাসী

মঞ্জুর মোর্শেদ, মুন্সীগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ বিকল্প সংযোগ সড়কটি দীর্ঘ দেড় যুগেও চালু না হওয়ায় মুন্সীগঞ্জবাসীকে রাজধানীতে যাতায়াতে নানান দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেতকা-তেঘড়িয়া বিকল্প এই সড়কটির নির্মাণ কাজ ৯০ ভাগ সমাপ্ত হলেও শুধুমাত্র মোল্লারহাট সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হচ্ছে না। বেতকা-তেঘড়িয়া সড়কটি চালু হলে মুন্সীগঞ্জের সাথে সড়ক পথে ঢাকার দূরত্ব যেমন কমে আসবে তেমনি যানজট মুক্তভাবে ঢাকায় যাতায়াত করা যাবে। পাশাপাশি এ এলাকায় কৃষি ভিত্তিক শিল্পের প্রসার ঘটবে। বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জোরদার হবে এবং ঢাকার দক্ষিণ দিকে উপশহর সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে।
মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০০২ সালে বেতকা-তেঘড়িয়া সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০.৩৭ কি.মি. দীর্ঘ সড়কটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘড়িয়া হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর বেতকা ও ধলেশ্বরী নদীর ওপর সাপেরচর সেতুসহ রাস্তার ৮০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হবার পর গত ১০ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ১০ভাগ। এখন মোল্লারহাট সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে সড়কটিতে যানচলাচল শুরু করতে পারবে। গত ২ বছরে নির্মাণ কাজের মাত্র ১৫ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী জানান, প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২শ’ ৫২ মিটার দীর্ঘ মোল্লারহাট সেতুটি নির্মাণ কাজ চলছে। গত নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্ষার পর আবার বাকি পাইলিং শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ ভাগ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামি ২০২২ সালে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবার সম্মাবনা রয়েছে।
বেতক-তেঘড়িয়া রাস্তার দু’পাশে গড়ে উঠেছে শিল্প কল-কারখানাসহ ছোট বড় হাট-বাজার। ফলে পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি প্রশস্ত করতে বিভিন্ন আইনগত সমস্যায় পরতে হবে। রাস্তার দু’পাশে বাড়িঘর থাকায় বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে যাচ্ছে। ফলে পিচঢালা রাস্তা দ্রæত নষ্ট হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বেতকা থেকে বালুরচরবাজার পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়ক যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মোল্লারহাটে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে মুক্তারপুর-পঞ্চবটি-পাগলা সড়ক হয়ে। এই রাস্তায় স্থানীয় ৫টি সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ট্রাকের কারণে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে।
টংগীবাড়ী উপজেলাবাসীকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে মাওয়া-সিরাজদিখান হয়ে। বেতক-তেঘড়িয়া রাস্তাটি চালু হলে মুন্সীগঞ্জ, টংগীবাড়ি ও সিরাজদিখানবাসী খুব সহজে যানজট মুক্তভাবে প্রায় আধা ঘণ্টায় ঢাকায় যেতে পারবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন