শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জীর্ণ ভবনের খসে পড়ছে পলেস্তারা কাজে মন্থরগতি

প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

সৈয়দপুর উপজেলা পোস্ট অফিসসহ ১২টি ব্রাঞ্চ অফিস ভবন জরাজীর্ণ, জনবল সংকট ও কর্মচারীদের সরকারিকরণের অভাবে কাজের গতি আসছে না। উপজেলা প্রধান অফিসের ছাদ দিয়ে পড়ছে পানি। খসে পড়ছে পলেস্তারা। প্রতি মাসে এই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকার লেনদেন হলেও প্রধান ডাকঘরে উন্নীত করা হচ্ছে না। ফলে এখানকার গ্রাহকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সৈয়দপুরের এই পোস্ট অফিসের অধীনে ১২টি অতিরিক্ত শাখা অফিস (ইডিডিএ) রয়েছে। এসব অফিস বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন, অন্যের বাসাবাড়ি, ভাড়া ও কিছু রয়েছে নিজস্ব জায়গায়। এগুলোর শাখা অফিস হচ্ছে কামারপুকুর, গোলাহাট, দিলালপুর, নিতাই, বেড়াকুঠি, বুড়িপুকুর, লক্ষণপুর, শ্বাসকান্দর, সোনাখুলি, হাজারীহাট, ময়দানপুর ও লালদীঘি। এসব অফিসে একজন পোস্ট মাস্টার, একজন বিলিকারী এবং একজন ডাকবহনকারী মাত্র ১১শ টাকার সম্মানী ভাতায় কাজ করছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারিকরণের আন্দোলন করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে এসব কর্মচারী সামান্য সম্মানী ভাতায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলা পোস্ট অফিসসহ প্রতিটি শাখা ডাকঘর জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে বর্ষাকালে ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা পোস্ট অফিসটিও সংস্কার না করায় পলেস্তারা খসে পড়ছে এবং বর্ষাকালে ভবন চুইয়ে পানি পড়ে। এ বিষয়ে অনেকবার লেখালেখি করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সদ্য দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হওয়া উপজেলা পোস্ট মাস্টার শামসুজ্জোহা বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই কাজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আয়-উপার্জনের কথা বিবেচনা করে এটিকে প্রধান ডাকঘরে উন্নীত করার জন্য লেখালেখি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পোস্ট অফিসে ১২ জন পোস্টাল অপারেটরের স্থলে মাত্র চারজন দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এতে কাজের বিঘœ ঘটছে চরমভাবে। তিনি পোস্ট অফিসের সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন