শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণকারী আটক

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২৬ পিএম

সাতক্ষীরায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষনকারী তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ভোরে ভারতে যাওযার সময় শ্যামনগরের পূর্ব কাশিমাড়ি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তরিকুল ইসলাম (১৮) আশাশুনি উপজেলার নাসিমাবাদ গ্রামের সেয়াবুল ইসলামের ছেলে।
আশাশুনি উপজেলার নাসিমাবাদ গ্রামের ধর্ষিতা শিশুর মা জানান, আমার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। গত সোমবার দুপুরে প্রতিবেশী তরিকুল ইসলাম মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে তার ঘরে ডেকে নেয়। এরপর তাকে জোর করে ধর্ষন করে। এসময় মেয়ের চিৎকারে আমি ছুটে গেলে তরিকুল ইসলাম ঘরের ভিতর থেকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে তখন বিবস্ত্র অবস্থায় কান্নাকাটি করছিল। পরে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করি।
সাতক্ষীরা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান জানান, প্রতিবেশী বখাটে তরিকুল ইসলামের ধর্ষনের স্বীকার হয় সাত বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে আশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এরপর মামলাটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack Ali ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৪ পিএম says : 0
We our country ruled by the Law of Allah there will be no crime. খিলাফত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর পর তাঁর দাফন শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী খলিফা নির্বাচন নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। মদীনার আনসাররা সাকীফা বনু সায়িদায় একত্রিত হন। সেখানে কিছু সংখ্যক মুহাজিরও ছিলেন। আনসাররা অভিমত দিলেন যে পরবর্তী খলিফা তাঁদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হোক। মুহাজিররা এর প্রতিবাদ জানালেন। দু পক্ষ থেকে দুজন খলিফা নির্বাচনের দাবীও কেউ কেউ জানালেন। এভাবে একটি গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। খবর পেয়ে আবু বকর, উমর ও আরো কয়েকজন মুহাজির সেখানে গেলেন। আবু বকর একটি চমৎকার ভাষণ দিলেন। তাঁর ধীরতা ও যুক্তি-প্রমাণের কাছে সবাই নতি স্বীকার করল। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু খলিফা হিসাবে আবু বকরের নাম প্রস্তাব করলেন ও প্রথমেই তাঁর হাতে বাইয়াত নিলেন। এরপর সকলেই বাইয়াত নিলেন। এভাবে ইসলামের প্রথম খলিফা নির্বাচিত হলেন আবু বকর। এরপর তিনি একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন, যাতে একজন খলিফার দায়িত্ব এবং জনগণের দায়িত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুঠে উঠেছে। ভাষণ: হে লোকসকল, আমাকে তোমাদের উপর কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমি তোমাদের সর্বোত্তম নই। সুতরাং যদি আমি সঠিক কাজ করি তবে আমাকে সাহায্য কর এবং যদি আমি ভুল করি তবে আমাকে সংশোধন করে দিও। সততা একটি পবিত্র আমানত এবং মিথ্যা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। তোমাদের দুর্বলরা ততক্ষণ পর্যন্ত সবল যতক্ষণ পযন্ত আমি তাকে তার অধিকার আদায় করে দেই ইনশাআল্লাহ এবং তোমাদের শক্তিশালীরা ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্বল যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের কাছে থেকে পাওনা আদায় করে দেই ইনশাআল্লাহ। কোনো জাতি জিহাদ ত্যাগ করলে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত না করে ছাড়বেন না। না কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে আর আল্লাহ তাকে পরীক্ষায় ফেলবেন না। আমাকে ততক্ষণ মেনে চল যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে চলি এবং যদি আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে না চলি, তাহলে আমার প্রতি তোমাদের আনুগত্যের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সালাতের জন্য দাঁড়াও। আল্লাহ তোমাদের উপর রহম করুন। (আনাস ইবন মালিক বর্ণিত)। আবু বকর খলিফা হওয়ার আগে মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বে ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একজন নবীর নেতৃত্ব ও মানুষের নেতৃত্বের মাঝে পার্থক্য আছে। নবীর প্রদর্শিত পথে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে নেতৃত্ব দেবে তা দেখিয়ে গেছেন আবু বকর। যে সব মূলনীতি তাঁর ভাষণের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে, তা উম্মাহর জন্য অনুসরণীয়। আবু বকর স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিলেন যে শরীয়তের উৎস কুরআন ও সুন্নাহ। আনুগত্য ততক্ষণ, যতক্ষণ কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেতৃত্ব ছিল প্রশ্নাতীত, কারণ আল্লাহ নিজে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন ও সংশোধন করেছেন। মুসলিম নেতা জবাবদিহি করবে উম্মাহর কাছে- উম্মাহর দায়িত্ব ইমামকে সঠিক পথে চালানো। সুবিচার ও সমতা হবে ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি। নেতা ও উম্মাহর মাঝে সম্পর্ক হবে সততা ও বিশ্বস্ততার। যে জাতি আল্লাহর পথে জিহাদ করে না, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করবেন এটাই আল্লাহর নিয়ম বা রীতি। যে জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, সে জাতি হয় দুর্বল।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন