শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

যশোরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ

প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রেবা রহমান, যশোর থেকে

যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর এলাকায় প্রবল বর্ষণে মাঠ, ঘাট, রাস্তায় পানি আর পানি। প্লাবিত হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মৎস্যঘের ও পুকুর থেকে ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ। সবজিসহ ফসলাদির ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। কেশবপুর শহরের অনেক বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে। বিশেষ করে হরিহর নদীর উপচেপড়া পানিতে শহরের ধান বাজার, মাছ বাজার ও গোহাটায় পানি থৈ থৈ করছে। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। যশোর সদরেও সবজি উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টির এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, অতি বর্ষণের পানি যশোর সাতক্ষীরা সড়কের কেশবপুরের মধ্যকুল ও ফতেপুর সড়কের বাজিতপুরের রাস্তা তলিয়ে সড়ক যোগাযোগে মারাত্মক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শহরের পোস্ট অফিস পাড়া, সাহা পাড়া, কলেজ পাড়া, প্রফেসর পাড়া ও শান্তি পাড়ার বাসিন্দারা। বরনডালি, সরসকাটি, মিরেরডাঙ্গা, কোমরপুর, নেহালপুর, রেজাকাটি, বগা, মহাদেবপুর, আওয়ালগাতি, শেখপুরা, বিষ্ণুপুর, শ্রীপুর, গৃধরনগর, কালিচরণপুর, ডহুরী, ময়নাপুর, শানতলাসহ উপজেলার কমপক্ষে ১০টি গ্রাম আংশিক তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের মাটির কাঁচাঘর আংশিক ধসে পড়েছে। কেশবপুর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান, ভারী বর্ষণে ১ হাজার ৮৩৮টি মাছের ঘের, ১ হাজার ১০২টি পুকুর ভেসে গিয়ে ৪৭ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৫শ’ হেক্টর জমির উঠতি আউশ, আমন বীজতলা, শাক-সবজি ও পানের বরজ তলিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আমীর হোসেন বলেন, যে সমস্ত এলাকার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে তা পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ রায়হান কবির বলেন, যেখানে যেখানে পানিবদ্ধ রয়েছে তা সরানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যশোরের বারীনগর, সাজিয়ালি, চুড়ামনকাঠি, খাজুরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ষণে সবজির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন